রামপালবিরোধী কর্মসূচির যেখানেই বাধা সেখানেই সমাবেশ: আনু মুহাম্মদ
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে আগামী ২৪ নভেম্বর ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ ও ২৬ নভেম্বরের মহাসমাবেশ করবে তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। এই কর্মসুচির যেখানেই বাধা দেয়া হবে, সেখানেই সমাবেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ।
মঙ্গলবার রাজধানীর মুক্তি ভবনে রামপাল বিরোধী কর্মসুচিগুলোর বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ বলেন, দেশের সাতটি প্রান্ত থেকে ২৪ নভেম্বর ঢাকা অভিমুখে যাত্রা শুরু হবে। ঢাকায় আসার পথে যেখানেই বাধা দেয়া হবে সেখানেই সমাবেশ করা হবে। তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আমরা প্রতিটি কর্মসূচি পালন করতে চাই। সরকারের সব প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করেই মহাসমাবেশ করা হবে। আর শহীদ মিনারের জন্য সেভাবে অনুমতি নিতে হয় না, প্রশাসনকে অবহিত করলেই হয়। আমরা কোন সাংঘর্ষিক অবস্থানে যেতে চাই না। তিনি বলেন, সুন্দরবনের রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে ৩৫ লাখ মানুষ জীবিকা হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর চার কোটি মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিরাপত্তা হুমকিতে পড়বে। আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবন বিনাশের কারণ হবে বলে মত দিয়েছে। আমরা জনগণের শক্তি, বৈজ্ঞানিক তথ্য যুক্তি, দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, রামপাল প্রকল্পের প্রতিবাদে এবং জাতীয় কমিটির সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে ২৪ নভেম্বর ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি শুরু হবে। এই যাত্রা শেষে ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করা হবে।