রামপালে বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনে ভারত করছাড় সুবিধা পেল
বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপনে কর অবকাশ সুবিধা পেল ভারত। রামপাল বিদ্যুত্ কেন্দ স্থাপন করার পর সেখান থেকে যে লাভ হবে তার কোন কর দেয়া লাগবে না। সম্প্রতি সরকার ভারতকে এই সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কেন্দ্র দ্রুত স্থাপন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বুধবার বিদ্যুত্ কেন্দ্রটির বাস্তবায়ন এবং ক্রয় চুক্তি করার জন্য ভারতীয় বিদ্যুত্ সচিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারতের কাছ থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুত্ উত্পাদন শুরুর দিন থেকে ১০ বছরের জন্য লভ্যাংশের ওপর কর নেয়া হবে না। এছাড়া প্রস্তাবিত পিপিএতে দক্ষতা ও পরিচালনার ওপর কোনো জামানতের বিধান রাখা হয়নি। কর মওকুফ সুবিধার জন্য আটকে ছিল বিদ্যুত্ নির্মাণ (আইএ) ও বিদ্যুত্ ক্রয় (পিপিএ) চুক্তি। ভারত প্রথম থেকেই এই সুবিধা চেয়ে আসছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিদ্যুত্ বিভাগকে ইতিমধ্যে এই সুবিধা দেয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। যদিও এর আগে এনবিআর ভারতকে কর অবকাশ সুবিধা দিতে সম্মত হয়নি। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দেয়ার পর এনবিআর সিদ্ধান্ত নেয়। বিদ্যুত্ বিভাগ সূত্র জানায়, গত ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ স্ট্যায়ারিং কমিটির বৈঠকে ভারত কেন্দ্রটির বাস্তবায়ন চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানায়। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কেন্দ্রটির বিদ্যুত্ বিক্রি করে ভারত যে লাভ করবে তার উপর কর অবকাশ দিতে হবে। অর্থাত্ লভ্যাংশের উপর কর দেবে না ভারতীয় ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি)। বাংলাদেশ প্রথম দিকে দাবিটি মানতে না চাইলে ভারতীয় পক্ষ বিদ্যুত্ কেন্দ্রটি বাস্তবায়নে অনাগ্রহ দেখায়।
বিদ্যুত্ বিভাগ সূত্র জানায়, স্ট্যায়ারিং কমিটির বৈঠকের আগেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে লভ্যাংশের উপর কর মওকুফের জন্য চিঠি দেয়া হয়। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকের পর সরকার কর মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত চিঠিতে ফ্রেন্ডশীপ কোম্পানির কর অবকাশের বিষয়টি বিদ্যুত্ বিভাগকে জানিয়েছে। ওই দিনই বিষয়টি ভারতীয় পক্ষকে টেলিফোনে বিদ্যুত্ বিভাগ অবহিত করে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে বিদেশি কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি বিনিয়োগ করলে তার যে লাভ হবে সেই লাভের ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ কর দেয়ার কথা। বাংলাদেশে শুধু গ্যাস উত্তোলনের ক্ষেত্রে উত্পাদন বণ্টন চুক্তির আওতায় কিছু কোম্পানিকে এই সুবিধা দেয়া হয়। যদিও সে অর্থ আবার পেট্রোবাংলা এনবিআরকে দিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে কেউ এই করের অর্থ দেবে না।
রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানি যৌথভাবে বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপন করবে। এই কোম্পানিতে দুই দেশের সমান সমান বিনিয়োগ আছে। মূলত বাংলাদেশ বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) যৌথভাবে এই কোম্পানি গঠন করেছে।
আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলো এই কেন্দ্র স্থাপনে অর্থায়ন করবে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে।
সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার ও সুন্দরবনের বাফার এলাকা থেকে চার কিলোমিটার দূরে এবং মংলা বন্দর থেকে আট কিলোমিটার দূরে রামপালের গৌরম্ভার কৈকরদশ কাঠি এবং সাতমারি মৌজায় এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এর জন্য এক হাজার ৮৪৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর বাইরে আমদানি করা কয়লা রাখার জন্য মংলা বন্দরের কাছে আরো ২৫ একর জমি চাওয়া হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রামপালের কয়লা ভিত্তিক এই কেন্দ্রটি ২০১৬ সালের মধ্যে উত্পাদনে আসার কথা।
কেন্দ্র স্থাপনে প্রাথমিকভাবে দেড় বিলিয়ন ডলার খরচ ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ৭০ শতাংশ ঋণ হবে। বাকি ৩০ শতাংশ সমানভাবে বাংলাদেশ ও ভারত যোগান দেবে। আমদানি করা কয়লা দিয়ে কেন্দ্রটি চলবে।
বুধবার বিদ্যুত্ কেন্দ্রটির বাস্তবায়ন এবং ক্রয় চুক্তি করার জন্য ভারতীয় বিদ্যুত্ সচিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভারতের কাছ থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুত্ উত্পাদন শুরুর দিন থেকে ১০ বছরের জন্য লভ্যাংশের ওপর কর নেয়া হবে না। এছাড়া প্রস্তাবিত পিপিএতে দক্ষতা ও পরিচালনার ওপর কোনো জামানতের বিধান রাখা হয়নি। কর মওকুফ সুবিধার জন্য আটকে ছিল বিদ্যুত্ নির্মাণ (আইএ) ও বিদ্যুত্ ক্রয় (পিপিএ) চুক্তি। ভারত প্রথম থেকেই এই সুবিধা চেয়ে আসছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিদ্যুত্ বিভাগকে ইতিমধ্যে এই সুবিধা দেয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। যদিও এর আগে এনবিআর ভারতকে কর অবকাশ সুবিধা দিতে সম্মত হয়নি। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পরামর্শ দেয়ার পর এনবিআর সিদ্ধান্ত নেয়। বিদ্যুত্ বিভাগ সূত্র জানায়, গত ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ স্ট্যায়ারিং কমিটির বৈঠকে ভারত কেন্দ্রটির বাস্তবায়ন চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানায়। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কেন্দ্রটির বিদ্যুত্ বিক্রি করে ভারত যে লাভ করবে তার উপর কর অবকাশ দিতে হবে। অর্থাত্ লভ্যাংশের উপর কর দেবে না ভারতীয় ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি)। বাংলাদেশ প্রথম দিকে দাবিটি মানতে না চাইলে ভারতীয় পক্ষ বিদ্যুত্ কেন্দ্রটি বাস্তবায়নে অনাগ্রহ দেখায়।
বিদ্যুত্ বিভাগ সূত্র জানায়, স্ট্যায়ারিং কমিটির বৈঠকের আগেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে লভ্যাংশের উপর কর মওকুফের জন্য চিঠি দেয়া হয়। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকের পর সরকার কর মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত রবিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সংক্রান্ত চিঠিতে ফ্রেন্ডশীপ কোম্পানির কর অবকাশের বিষয়টি বিদ্যুত্ বিভাগকে জানিয়েছে। ওই দিনই বিষয়টি ভারতীয় পক্ষকে টেলিফোনে বিদ্যুত্ বিভাগ অবহিত করে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে বিদেশি কোন কোম্পানি বা ব্যক্তি বিনিয়োগ করলে তার যে লাভ হবে সেই লাভের ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ কর দেয়ার কথা। বাংলাদেশে শুধু গ্যাস উত্তোলনের ক্ষেত্রে উত্পাদন বণ্টন চুক্তির আওতায় কিছু কোম্পানিকে এই সুবিধা দেয়া হয়। যদিও সে অর্থ আবার পেট্রোবাংলা এনবিআরকে দিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে কেউ এই করের অর্থ দেবে না।
রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানি যৌথভাবে বিদ্যুত্ কেন্দ্র স্থাপন করবে। এই কোম্পানিতে দুই দেশের সমান সমান বিনিয়োগ আছে। মূলত বাংলাদেশ বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) যৌথভাবে এই কোম্পানি গঠন করেছে।
আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলো এই কেন্দ্র স্থাপনে অর্থায়ন করবে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে।
সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার ও সুন্দরবনের বাফার এলাকা থেকে চার কিলোমিটার দূরে এবং মংলা বন্দর থেকে আট কিলোমিটার দূরে রামপালের গৌরম্ভার কৈকরদশ কাঠি এবং সাতমারি মৌজায় এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এর জন্য এক হাজার ৮৪৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এর বাইরে আমদানি করা কয়লা রাখার জন্য মংলা বন্দরের কাছে আরো ২৫ একর জমি চাওয়া হয়েছে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রামপালের কয়লা ভিত্তিক এই কেন্দ্রটি ২০১৬ সালের মধ্যে উত্পাদনে আসার কথা।
কেন্দ্র স্থাপনে প্রাথমিকভাবে দেড় বিলিয়ন ডলার খরচ ধরা হয়েছে। এরমধ্যে ৭০ শতাংশ ঋণ হবে। বাকি ৩০ শতাংশ সমানভাবে বাংলাদেশ ও ভারত যোগান দেবে। আমদানি করা কয়লা দিয়ে কেন্দ্রটি চলবে।