রামপালে বিদ্যুৎ বিরোধি হরতালে শাহবাগে সংঘর্ষ
রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় হরতাল পালন করছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। সকালে শাহবাগে সংঘর্ষ হয়েছে।এছাড়া সারাদেশে সভা সমাবেশ পালন করছে নেতা-কর্মীরা।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প আছে কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নাই-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, এই হরতাল অন্য সব হরতালের চেয়ে আলাদা। এটা জনগণের ¯^তঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণের হরতাল। তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পক্ষেই অধিকাংশ জনমত রয়েছে, তাহলে গণভোট দিন। সরকার যদি মানুষকে প্রকৃতপক্ষে ভোট দিতে দেয়, তাহলে নিশ্চিত শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষ এই চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেবে।
এ বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবন ধ্বংস হবে বলে পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন দাবি করে আসছেন। কিন্তু পরিবেশবাদীদের বিরোধিতার মধ্যেই এ প্রকল্পের চুক্তি করেছে সরকার।
আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশে এবং সারা বিশ্বে একজনও বিশেষজ্ঞ পাওয়া যাবে না, যিনি মনে করেন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। শুধু কমিশন ভোগি ও কোম্পানির স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই এই দাবি করেন। সুন্দরবনবিনাশী প্রকল্প বন্ধ হলে আন্দোলন-হরতালও বন্ধ হবে। সুন্দরবন বিনাশী কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হবে আর বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে দেখবে, তা হতে পারে না।
এদিকে হরতালের সমর্থনে বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। গণসংহতি আন্দোলণের প্রধান সমš^য়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা অপচয় করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপকৌল চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে হরতালের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। গত মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সংহতি ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত রোববার জাতীয় কমিটির ডাকা এ হরতালে সমর্থন জানায় বিএনপি।