রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে উম্মুক্ত সংলাপের আমন্ত্রণ

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে উম্মুক্ত সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।  এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ১৯ নভেম্বর রামপাল এলাকা পরিদর্শনে প্রতিমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণের ক্ষেত্রে রামপাল ও ওরিয়নের প্রকল্প স্থগিত ও মিথ্যা প্রচার বন্ধ করার শর্ত দিয়েছে নেতারা।
বৃহস্পতিবার পল্টনে অবস্থিত মুক্তি ভবনে ‘রামপাল সফরের সরকারি আমন্ত্রণ ও মিথ্যা প্রচার প্রসঙ্গে জাতীয় কমিটির বক্তব্য’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কমিটির আহবায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ওয়ার্কার্স পার্টির কামরুল আহসান, বজলুর রশিদ ফিরোজ, সিপিবি রুহিন হোসেন প্রিন্স।
জাতীয় কমিটির নেতারা বলেছেন, সুন্দরবন রক্ষা ও দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য যৌথসফর সহ সরকারকে সবরকম সহযোগিতা করতে সবসময়ই সম্মত জাতীয় কমিটি। তবে সরকার এ কাজে যে আসলেই আগ্রহী তার লক্ষণ থাকা দরকার। সেজন্য সরকারকেই কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। এরমধ্যে দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞ, ইউনেস্কোসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও পরিবেশবাদীদের দাবির প্রেক্ষিতে সুন্দরবন বিনাশি রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থগিত করতে হবে, সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর সব তৎপরতা বন্ধ করতে হবে এবং মিথ্যা প্রচার, ভুল তথ্য ও সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারিদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা ও দমনপীড়ন বন্ধ করতে হবে। তারা বলেন, এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হলে সরকারের প্রস্তাবিত যৌথ সফরে অংশগ্রহণ করা যেতে পারে। নেতারা বলেছেন, প্রতিমন্ত্রী রাজি হলে সুন্দরবনের লাভ-ক্ষতি, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের অবস্থান নিয়ে উš§ুক্ত সংলাপের আয়োজন করতে পারে জাতীয় কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে গত ২ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রচারিত বিদ্যুৎ বিভাগের প্রজ্ঞাপনের বক্তব্যের বিরোধীতা করে বলা হয়, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প’ আখ্যায়িত করে দেয়া বিজ্ঞাপনের তথ্য এরইমধ্যে বিশেষজ্ঞরা নাকচ করেছেন। অনেক তথ্য হাস্যকর, বিভ্রান্তিকর।
সুন্দরবন রক্ষায় আগামী ১৪ নভেম্বর ঢাকায় ‘সুন্দরবন রক্ষা কনভেনশন’ করতে যাচ্ছে জাতীয় কমিটি। কনভেনশন সফল করে সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।