রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি শুরু
রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রা জাতীয় কমিটির ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট থেকে এ কর্মসুচি শুরু করা হয়েছে।
এর পর পরই খুলনা বিভাগে রামপাল, রংপুর বিভাগে পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ বিভাগে নেত্রকোনা, বরিশাল বিভাগে পটুয়াখালী, সিলেট বিভাগে সুনামগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম বিভাগে কক্সবাজার থেকে সমাবেশ করে ঢাকা উদ্দেশ্যে যাত্রা শূরু করেছে জাতীয় কমিটির নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কানসাট গোপালনগর মোড় থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। এরপর পদযাত্রাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে এসে সমাবেশ করে। সমাবেশ শেষে সদর থেকে যাত্রা শুরু করা হয়। জাতীয় কমিটির এই যাত্রা আগামী ২৬ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশে যোগ দেবে।
কানসাটের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য রাগিব আহসান মুন্না, বাসদ’র রাজশাহী সমন্বয়ক দেবাশিস রায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কমিউনিস্ট পার্টিও নেতা ইসরাইল সেন্টু, অ্যাডভোকেট আবু হাসিব। বক্তারা বলেন, মহাপ্রাণ সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই সুন্দরবনের ক্ষতি করে এমন কোনো প্রকল্প জনগণ মেনে নেবে না। এজন্য সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
চলো চলো ঢাকা চলো কর্মসুচির বিষয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, দেশের সাত জায়গা থেকে এ কর্মসুচি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত শান্তিপূণভাবেই কর্মসুচি শুরু করা হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আমরা আমাদের কর্মসুচি পালন করতে চাই। আশা করি সরকার কোনো বাধা দেবে না। তবে যদি ঢাকায় আসার পথে কোনো বাধা আসে সেখানেই সমাবেশ করা হবে। আর শহীদ মিনারের মহাসমাবেশের জন্য অনুমতি নিতে হয় না, প্রশাসনকে অবহিত করলেই হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চগড় শহীদ মিনার থেকে সমাবেশ করে পদযাত্রা শুরু করা হয়েছে। সমাবেশে স্থানীয়দের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের ক্ষতি করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যাবে না। দেশের অন্য কোনো জায়গায় এই কেন্দ্র করা যেতে পারে। সেজন্য বিকল্প জায়গা খুজতে পারে সরকার। সমাবেশের পর ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করা হয়। পটুয়াখালীতেও বিকেলে শহীদ মিনারে সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু হয়েছে। রামপালের বাজুয়া চালারবাগ এলাকায় একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। এরপর পদযাত্রা শুরু করে কাঁটাখালীতে এসে সমাবেশ করে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা হয়েছে। ময়মনসিংহের হলূয়াঘাট এলাকার গরুর হাটে সমাবেশ করে জাতীয় কমিটি। সমাবেশে নেতারা বলেন, সাধারন মানুষের বাধার মুখে সরকার রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে পারবে না। এজন্য গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে। সমাবেশের পর পদযাত্রা শুরু করা হয়। কক্সবাজারেও শহীদ মিনারে সমাবেশ করা হয়েছে। সমাবেশের পর ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে জাতীয় কমিটির নেতা-কর্মীরা।
জাতীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স জানান, দেশের সাতটি জায়গা ছাড়াও অনেক উপজেলা ও জেলায় বৃহস্পতিবার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ শেষে ওইসব এলাকা থেকেও সাধারণ মানুষ জাতীয় কমিটির নেতৃত্বে ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে যাত্রা শুরু করেছে।