বাণিজ্যিক ও শিল্প গ্রাহকদের নতুন গ্যাস সংযোগ পেতে এবং এই খাতে চলমান সংকট কাটাতে আরো দুই বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার জ্বালানি খাতের জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
শনিবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন বলেন। বুয়েট এ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘জ্বালানি, পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন: বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত বিকল্প’ শীর্ষক এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বুয়েট-এর উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বুয়েট এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম ভুঁইয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ম. তামিম, ড. রেজোয়ান খান এবং ড. আহমাদ কায়কাউস। বক্তব্য রাখেন- পাওয়ার সেল-এর মহাপরিচালক ড. এম এ মতিন ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং নিকট ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহের উপর আর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না। যারা গ্যাস পাচ্ছে না তাদের কথা আমরা বিবেচনা করছি এবং বিদ্যমান পাইপলাইনের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদ্যমান গ্যাস পাইপ লাইনের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম গ্যাস সরবরাহ করবে।
আসছে বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আসন্ন বাজেট হবে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষত বায়ু ও সৌর বিদ্যুতের ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সাল নাগাদ ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনের লক্ষ্যে সরকার দেশে পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
Next Post