শীতের আমেজ: পুরোদমে শুরু মাঝ নভেম্বরে

মৌসুমি বায়ু বিদায় নেয়ার পর থেকেই শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। কিছুদিন ধরে ভোরে কুয়াশা পড়ছে। রাতের তাপমাত্রা কমে গেছে। তাতে অনুভূত হচ্ছে শীত। গত দু’দিনের বৃষ্টির কারণে শীতের আমেজ আরো বেড়েছে। দুপুরের পরই সন্ধ্যা। যেন বিকেল নেই।
রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে থাকবে। আপাতত অপরিবর্তিত থাকবে দিনেরও। এমনই জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তার মানেই শুরু হলো শীত। তবে আবহাওয়া অফিসের কথামতো পুরোদমে শীত শুরু হতে আগামী মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে মৌসুমি বায়ু। আর মৌসুমি বায়ু বিদায় নেয়ায় পর খুব ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে শীতের বাতাস আসতে শুরু করে।
আবহাওয়া অধিদফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মৌসুমি বায়ু বিদায় নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শীতের আমেজ শুরু হয়ে যায়। উত্তরবঙ্গ থেকে অনেক আগেই এবং ঢাকায় ১০ অক্টোবরের দিকে এবং সবার শেষে গত শুক্রবারে চট্টগ্রাম থেকে বিদায় নেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকেই বিদায় নিল মৌসুমি বায়ু। আর এর ফলে শুরু হয়ে গেছে শীতের প্রভাব। তিনি জানান, এখন দিনের বেলা তাপমাত্রা প্রায় স্বাভাবিক থাকলেও রাতে ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে। তবে এবার শীতের তীব্রতা কেমন হতে পারে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। হিমালয় অঞ্চল থেকে আগত শীতল বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ বায়ু সর্বপ্রথম উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করে বলে দেশের উত্তর দিকে সবার আগে শীতের তীব্রতা দেখা দেয় এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
আবহাওয়া অধিদফতরের একজন আবহাওয়াবিদ জানান, আমাদের দেশে মূলত ডিসেম্বর মাসে শীত বেশি অনুভূত হয়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের আমেজ থাকে। এর আগে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে বলে শীত অনুভূত হয়। তিনি জানান, মৌসুম পরিবর্তনের সময় সাগর অস্থিতিশীল থাকে। আর এ সময়ে সাগরে বিভিন্ন সময়ে লঘুচাপ ও নি¤œচাপ সৃষ্টি হতে পারে। বছরের এ সময়ের নি¤œচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আমাদের দেশে বছরের এপ্রিল-মে ও অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে সাধারণত বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে থাকে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় চাঁদপুরে ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সৈয়দপুর ও দিনাজপুরে ২০ দশমিক ৮, শ্রীমঙ্গলে ২০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় গতকাল সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ২৩ দশমিক ৮, সিলেটে ২১, রাজশাহীতে ২২ দশমিক ৮, রংপুরে ২১ দশমিক ৬, খুলনায় ২২ দশমিক ৭ এবং বরিশালে ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।