শুভবোধ জাগরণে বৈশাখী আহ্বান

নতুন বছরে পুরনো সব জীর্ণতা মুছে যাবে- এই প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশ এখন বঙ্গাব্দ ১৪২৬ এর নতুন সূর্যের অপেক্ষায়।

বর্ষবরণের কর্মসূচিতে সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে শুভবোধের জাগরণের আহ্বান।

রোববার ভোর বাঙালির জীবনে আসছে নতুন বারতা নিয়ে।বাঙালির সার্বজনীন এই উৎসবের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে শনিবার চৈত্র সংক্রান্তির নানা আয়োজনে ১৪২৫ বঙ্গাব্দকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে।
চৈত্রের শেষ দিনে হালখাতা করে ব্যবসার হিসাব চুকানো বাংলার পুরনো রেওয়াজ। আর রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের বাণীতে কণ্ঠ মিলিয়ে বৈশাখের প্রথম দিন বাঙালির প্রত্যাশা থাকে; বৈশাখের রুদ্র ঝড় পুরনো বছরের আবর্জনা উড়িয়ে নেবে; গ্রীষ্মের অগ্নিস্নানে সূচি হবে বিশ্ব ধরা।
দল-মত, ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে বাঙালির সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখকে আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে মানব মুক্তির ডাক ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িক ও শেকড় সন্ধানী অবিনাশী চেতনার কথা সমাজের তৃণমূলে নেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

নতুন বছরের প্রথম দিনে অতীতের গ্লানি ভুলে জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।