সবার ঘরে বিদ্যুৎ দিতে পারলেই সন্তষ্ট হব – প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে অর্জন তাতে আমরা সন্তষ্ট নই। ২০২১ সালে সকলের ঘরে বিদ্যুৎ পেৌছে দিতে পারলেই সন্তষ্ট হব।
বুধবার রাজধানির হোটেল ওয়েস্টিন হোটেল এ অনুষ্ঠিত লাইটিং এশিয়া: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ; বিষয়ক নতুন লাইট এর উদ্বোধনীতে তিনি একথা বলেন। আইএফসি ও জিআইজেড যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জিআইজেড বাংলাদেশের যেখানে গ্রীড লাইন নেই সেখানে সহজ কিস্তিতে বিভিন্ন ধরণের বাল্ব সরবরাহ করবে। গ্রাহকদের সমক্ষমতা অনুযায়ি এই কিস্তি নির্ধারণ হবে। জিআইজেড পৃথিবী জুড়ে সকলের ঘরে আলো দেয়ার অভিযান শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে তারা যাত্রা শুরু করল। ২০১৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ৫০ লাখ সৌর বিদ্যুৎ গ্রাহক তৈরী হবে।
অনুষ্ঠানে জিআইজেড কান্ট্রি ডিরেক্টর তোবিস বেকার, বিশ্বব্যাংকের অপারেশন এডভাইজার ক্রিস্টিন কিমস ও সাসটিনেইবেল এনার্জির চিফ অপারেটিং অফিসার মহিনদর গুলাতি বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক বেড়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিমান বেড়েছে। কিন্তু আমরা এই অর্জনে সন্তস্ট নই। ২০২১ সালের ভিশন অর্থাৎ এই সময়ে সকলের ঘরে বিদ্যুৎ পেৌছে দিতে চাই। তিনি বলেন, দৈনিক বিদ্যুতর চাহিদা বাড়ছে। এই চাহিদা পূরণে বিভিন্ন জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক, ত্রিদেশীয় এবং আঞ্চলিক জ্বালানি লেনদেন করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যআয়ের দেশ হবে। আর সেই মধ্য আয়ের দেশ হতে জ্বালানি প্রয়োজন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ২৪ ঘন্টা জেগে থাকে। গামেন্টস সারারাত খোলা থাকে। মেয়েরা সারারাত কাজ করে। আমাদের সারাদেশে আলো দরকার। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের মধ্যে কাক্ষিত গ্রীণ হাউজ গ্যাস কমাতে হলে বেশি বিনিয়োগ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সাসটিনেইবেল এনার্জির চিফ অপারেটিং অফিসার মহিনদর গুলাতি বলেন, সহস্রাব্দের লক্ষ পূরণের মধ্যে জ্বালানি বিষয় নেই। জ্বালানি ছাড়া এই লক্ষ অর্জন সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য, শিক্ষার পাশাপাশি জ্বালানিকেও এরমধ্যে অন্তর্ভক্ত করতেহবে। সে জন্য রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।