সরকারের চলতি মেয়াদেই সবার ঘরে বিদ্যুৎ – তৌফিক-ই-ইলাহী

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, সরকারের চলতি মেয়াদেই সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া হবে। এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন প্রতিমাসে শুধু গ্রামাঞ্চলেই প্রায় তিন লাখ নতুন সংযোগ দেয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ, সৌর ও কনস্ট্রাকশন মেলা উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। রাজধানির আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরাতে তিন দিনের এই মেলা শুরু হয়েছে। সেমস্ গ্লোবাল এই মেলার আয়োজন করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, জ্বালানি চাহিদা মেটানো বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের মধ্য দিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে নতুন পথ খোঁজা হচ্ছে। তিনি বলেন, কয়লা ভিত্তিক যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করা হয়েছে তা বা্স্তবায়ন হলে মাত্র এক টন কার্বন নির্গমন হবে। অথচ বিশ্বের অনেক দেশ আছে যারা এখনই ২০ টন কার্বন নির্গমন করছে।

মেলার উ্দ্বোধনী অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন,  ইমারত নির্মাণ উপকরণমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হলে ফ্ল্যাট নির্মাণ ব্যয় কমিয়ে আনা যাবে। জনগণের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রির কিস্তি প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।

বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় জমির পরিমাণ কম। তাই পরিকল্পিত উপায়ে ভূমি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

রাজউক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও অধুনাপ্রতিষ্ঠিত কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকার পরিকল্পিত ভূমি ব্যবহার নিশ্চিত করছে। দেশের জনসংখ্যা ও ভূমির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। পূর্বাচলে ৬০ হাজার, মিরপুরে ১৬ হাজার ও ঝিলমিলে ১১ হাজার ফ্লাট করা হবে বলে তিনি জানান। এছাড়া পূর্বাচলে ১৩০ তলা বহুতল ভবন করা হবে। মিরপুর এলাকায় ১৯০ একর জমিতে গ্রিনসিটি গড়ে তোলা হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত এডওয়ার্ড ডি লেইগলেসিয়া, এফবিসিসিআই-এর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সফিউল ইসলাম (মহিউদ্দীন), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য এ টি এম জহিরুল ইসলাম মজুমদার ও সেমস্ গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট মেহরুন এন ইসলাম  বক্তৃতা করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপদেষ্টা বিদ্যুৎ মেলা এবং গৃহায়ন মন্ত্রী কনস্ট্রাকশন মেলা ঘুরে দেখেন। বাংলাদেশ সহ চীন, ভারত, জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, স্পেন, স্যুইজারল্যান্ড ও আমেরিকাসহ ১০টি দেশ থেকে বিভিন্ন কোম্পানি মেলায় অংশ নিয়েছে।

তিনদিনের আন্তর্জাতিক এই মেলায় বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, সৌর বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের নির্মান সামগ্রী, বৈদ্যুতিক যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ এবং আবাসন শিল্পের নানা পণ্য প্রদর্শণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।