সামিট ও বেক্সিমকো জাগো ফাউন্ডেশনকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার বার্ষিক অনুদান দিল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সামিট কর্পোরেশন এবং বেক্সিমকো হোল্ডিংস, দেশের দুই শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, জাগো ফাউন্ডেশনকে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার যৌথ বার্ষিক অনুদান দিয়েছে। এই টাকা দিয়ে জাগো সারা দেশে ৪ হাজার শিক্ষার্থীকে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে সহায়তা দেবে।
জাগো ফাউন্ডেশন, তাদের ইউনেস্কোর পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষার নকশা ব্যবহার করে মহামারীকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় টেলিফোন, শর্ট মেসেজিং সার্ভিস এবং ভিডিও কনফারেন্সিং-র মাধ্যমে শিক্ষা নিশ্চিত করবে। আগামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে গেলে, অনুদানটি ডিজিটাল স্কুল পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হবে।
এই প্রথম বাংলাদেশের দুই শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কোন দেশীয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে বড় অনুদান দিল। তিনবছর এই অনুদান দেয়া হবে।
সামিট গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে জাগো-এর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ওয়েবভিত্তিক শিক্ষার মডেল হয়ত ভবিষ্যতের পড়াশুনারই মডেল। সামিট দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জাগো-এর এই ইন্টারনেটভিত্তিক স্কুলগুলোকে সাহায্য করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। জাগো শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের জন্য ইউনেস্কো বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল-খলিফা পুরস্কার পেয়েছে।
বেক্সিমকো গ্রুপের বোর্ডের উপদেষ্টা শায়ান এফ রহমান বলেন, প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার আছে। স্কুলে যাওয়ার এবং শেখার অধিকার আছে। তবে অনেকের জন্য, কোভিড-১৯ মহামারীতে সেই অধিকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সৌভাগ্যবশত, দেশব্যাপী শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করে অনেকের জন্য দূরশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি। বেক্সিমকো এবং সামিটকে সাথে নিয়ে, জাগোর মাধ্যমে চার হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুর দূরশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।
জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ বলেন, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষাখাত। এই বৈশ্বিক মহামারীতে স্কুল -কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন একটি মুহূর্তে, সামিট এবং বেক্সিমকো, শিক্ষাখাতকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের কর্পোরেট খাত দেশের মানুষের জন্য এগিয়ে আসার এটি একটি উদাহরণ। আশা করি, এই উদ্যোগ অন্যান্য কর্পোরেটদের এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা জাগাবে এবং সমাজে একটি পরিবর্তন আনবে।
এই ঘোষণা উপলক্ষে, জাগো ফাউন্ডেশন একটি ভার্চুয়াল চুক্তি সই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে সামিট গ্রুপ অফ কোম্পানির পরিচালক ফাদিয়া খান, আজিজা আজিজ খান ও সালমান খান উপস্থিত ছিলেন। বেক্সিমকো থেকে ছিলেন গ্রুপ ডিরেক্টর আজমল কবির ও নির্বাহী পরিচালক, বেক্সিমকো গ্রুপ, সামিরা জুবেরী হিমিকা। এছাড়াও ছিলেন জাগোর প্রথম ব্যাচের দুই ছাত্র ফাতেমা ও লেনিন। ভার্চুয়াল চুক্তি সই অনুষ্ঠানটি নবনিতা চৌধুরী সঞ্চালনা করেন।