বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০১৪ পালিত
বিদ্যুৎ শক্তি যথাযথভাবে পরিমাপ এবং সিস্টেম লস কমিয়ে আনার জন্য বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা, অফিস-আদালত, হাসপাতালসহ সকল স্থানে স্মার্ট এনার্জি মিটার ব্যবহার করার আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০১৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) তেঁজগাও এর প্রধান কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
বৈশ্বিক শক্তি মোকাবেলায় পরিমাপ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিএসটিআই আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ উদ্দিন, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসটিআই মহাপরিচালক জনাব ইকরামুল হক।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার বিগত পাঁচ বছরে ৩ হাজার মেগাওয়াট থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদনে সক্ষম হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী উত্পাদন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা ২০১০ প্রণয়ন করেছে। এ মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ উত্পাদন ১৯০০০ মেগাওয়াট বৃদ্ধি করা হবে। এর পাশাপাশি সরকার শক্তি সাশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে চাহিদা অনুযায়ি বিদ্যুৎ সরবরাহ, সারাদেশের বিনামূল্যে সাড়ে ১০ মিলিয়ন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি বিতরণ, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উত্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত বিএসটিআই’র ন্যাশনাল মেট্রোলজি ল্যাবরেটরীতে মালটিন্যাশনাল কোম্পানী, ঔষধ কোম্পানী, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, ল্যাবরেটরী এবং উচ্চতর শিক্ষাদানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি বিএসটিআই থেকে ক্যালিব্রেশন করা হচ্ছে। ইতোপূর্বে এ সকল যন্ত্রপাতি বাইরের দেশ থেকে ক্যালিব্রেশন করানো হতো। যা ছিলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিএসটিআই দেশের শিল্প পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে জাতীয় মেজারমেন্ট স্ট্যান্ডার্ডগুলোর রক্ষনাবেক্ষনকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। রপ্তানী রাড়াতে বিএসটিআই’র অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পরিমাপ এবং মান উভয় বিষয়ে বিএসটিআইকে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে হবে। বিএসটিআই সত্ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বিএসটিআই’র বিভি্ন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক অর্জনের কথা তুলে ধরে সংস্থাটির মহাপরিচালক ইকরামুল হক বলেন, বিএসটিআই’র কয়েকটি ল্যাবরেটরি, প্রোডাক্টস সার্টিফিকেশন সিস্টেম এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন এ্যাক্রেডিটেশন তথা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। অতি সমপ্রতি বিএসটিআইর ন্যাশনাল মেট্রোলজী ল্যবরেটরীর ৬টি ল্যাব নরওয়েজিয়ান এ্যাক্রেডিটেশন এবং বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড থেকে এ্যাক্রেডিটেশন অর্জন করেছে। বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে রপ্তানী বাণিজ্যে বাঁধা অপসারণে এ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরীগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।