সুশাসনের অভাব ও বিদ্যুৎ ঘাটতি বিনিয়োগে বাধা

সুশাসনের অভাব ও বিদ্যুৎ ঘাটতি বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান অন্তরায় বলে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের একটি যৌথ সমীক্ষায় বলা হয়েছে।
‘ইনক্লুসিভ গ্রোথ ডায়াগনস্টিক স্টাডি’ শিরোনামে মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে বিনিয়োগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে।
ইউকেএআইডি ও ইউএসএআইডির যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত ওই সমীক্ষায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা কী কী বিষয় চিন্তা করেন, তা বের করতে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে কোনো সুপারিশ করা হয়নি। খবর বিডিনিউজ২৪ডটকমের।
সমীক্ষা নিয়ে ডিএফআইডির আবাসিক প্রতিনিধি সারাহ কুক বলেছেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার বিস্তারিত আমরা তুলে এনেছি। অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে উন্নয়ন অংশীদার, বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি খাতকে তা সহায়তা করবে। সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে সমন্বয় বৃদ্ধিতেও এটা সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি।
একে ‘দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি সুযোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইউএসএআইডি মিশনের পরিচালক ইয়ানিনা জারুজেলস্কি।
সরকার যখন আগামী পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের কাজ করছে সে সময় এ সমীক্ষা প্রতিবেদন এসেছে। বিদ্যুতের সহজলভ্যতা ও সম্পদের অধিকার সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এ প্রতিবেদনে।
সুশাসন: সুশাসন ও বিদ্যুতের ঘাটতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ‘সবচেয়ে বড় বাধা’ বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, চুক্তি ও সম্পদের অধিকার বলবৎ করার প্রক্রিয়া ‘ব্যয়বহুল, ঝামেলাপূর্ণ ও অনিশ্চয়তায় ভরা’। এছাড়া ‘অদক্ষ ও অকার্যকর’ ভূমি ব্যবস্থাপনা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধির অন্তরায়। বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতা’ পোহাতে হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অদক্ষ ভূমি প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা এবং চুক্তি ও সম্পদের অধিকার নিশ্চিতের দুর্বলতার সঙ্গে বিদ্যমান দুর্নীতি ক্রমশ বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করছে।
এর বাইরে বিদ্যুতের ঘাটতিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনে। শিল্প খাতে বিদ্যুৎ বিল ‘অনুকূল’ নয় বলেও এতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি পূরণ না করা গেলে সম্ভাবনার তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কম হওয়ার ধারা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে শিক্ষা নীতি, বিশেষত তৃতীয় ধাপের শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এতে।