সৌর প্যানেল বাধ্য করার আগে ফল বিবেচনা করা হয়নি: বিদ্যুত্ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুত্ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, আবাসিক ভবনে বিদ্যুত্ সংযোগ দিতে বাধ্যতামূলক সৌর প্যানেল স্থাপন করতে এরইমধ্যে ১১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।কিন্তু ফল কতটুকু পেয়েছি তা আলোচনার দাবি রাখে।সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তার কার্যকারিতা ও লাভজনক কিনা তা ভাবা উচিত।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত পাক্ষিক পত্রিকা‘এনার্জি এন্ড পাওয়ার’ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।পত্রিকার সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন।অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুত্ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায়. প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম খান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ হোসেন, ঢাকা বিদ্যুত্ বিতরণ কর্তৃপক্ষের (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল হাসান, এফবিসিসআইর সহ-সভাপতি হেলালউদ্দিন, রিহ্যাবের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, জার্মানভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা জিআইজেডের উপদেষ্টা সিদ্দিক জুবায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্বালানি ইনষ্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সাইফুল হক ও প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি অরুণ কর্মকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের জ্বালানি খাতের পথ নকশা অর্জনের জন্য ২০১৫ সালের মধ্যে মোট উত্পাদন ক্ষমতার পাঁচ শতাংশ বিদ্যুত্ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আনতে হবে।তবে কোথায় কিভাবে এবং কোন ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণ করা হবে তা কারিগরি এবং আর্থিক দিক বিশ্লেষণ করেই সিদব্দান্ত নেয়া হবে।
মূল প্রবন্ধে ইজাজ হোসেন বলেন, আবাসিক ভবনে বিদ্যুত্ সংযোগ পাওয়ার শর্ত হিসেবে সৌর বিদ্যুত্ প্যানেল বসানোর শর্ত অনেকটাই অদূরদর্শী ছিল।বাসা বাড়ির ছাদে সৌর বিদ্যুত্ প্যানেল বসিয়ে মাত্র ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ পাওয়া গেছে।এরমধ্যে সরকারি অফিসের মাধ্যমে দুই মেগাওয়াট।বাকিটা এসেছে আবাসিক খাত থেকে।
বিদ্যুত্ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায় বলেন, চাপিয়ে দেয়ায় সৌর বিদ্যুতের জনপ্রিয়তা আসেনি।এ বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে।নবায়নযোগ্য জ্বালানী নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে।নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে গ্রাহক বান্ধব করতে হবে।বিতরণ কোম্পানিগুলোতে আলাদা সৌর সেল খোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রিহ্যাবের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া আবাসিক ভবনে সৌর বিদ্যুত্ প্যানেল স্থাপনের শর্ত তুলে নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, এতে এক ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরী করা হয়েছে।কারণ এ নিয়ে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়।