২০৩০ সালের মধ্যে ধুঁয়ামুক্ত রান্নাঘর
চুলার ধুঁয়ায় প্রতিবছর বহুসংখক মহিলা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন। বাংলাদেশে প্রায় ৮৯ শতাংশ মানুষ এখনও কাঠের চুলার উপর নির্ভরশীল। সনাতনি এই চুলার রান্না থেকেই নানা রোগ ছড়াচ্ছে। রোগ প্রতিরোধ করতে ১০ কোটি ডলার খরচ করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে সারাদেশে ধোঁয়ামুক্ত রান্নঘর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
রোববার ধোঁয়া বিহীন রান্না ব্যবস্থা বিষয়ে এক সমঝোতা চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। টেকসই এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এবং জাতিসংঘ ফাউন্ডেশনের (ইউএনএফ) গ্লোবাল এ্যালায়েন্স যৌথভাবে বাংলাদেশে পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্য সম্মত চুলা বিতরণ করবে। বিদ্যুৎভবনে এবিষয়ে সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ধোঁয়াবিহীন উন্নত চুলার ব্যবহার বাড়াতে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। ধোঁয়ার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার উদ্যোগ অব্যহত রাখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন গ্রামকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে দ্রুত এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা প্রয়োজন। ২০৩০ সালের মধ্যে ধুয়াবিহীন রান্নাঘর করা সরকারের যে পরিকল্পনা আছে তা দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করতে হবে। উন্নত চুলার দাম ও প্রযুক্তি মানুষের সামর্থের মধ্যে রাখতে হবে।
সংশ্লিষ্ঠরা জানান, ২০১৭ সালের মধ্যে আবাসিক বাড়িতে ৫০ লাখ বায়োগ্যাস সংযোগ করা হবে। উন্নত চুলার জন্য সরকার আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে সরাসরি ৬৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে। বিশ্বব্যাংক, ইডকল, জিআইজেড, ইউএসএআইডি যৌথভাবে এক কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। এছাড়া নেদারল্যান্ডস্ ডিভলপমেন্ট ওরর্গানাইজেশন (এসএনভি) এইখাতে অর্থায়ন করবে।
চুক্তিতে স্রেডার সচিব শেখ ফয়জুল আমিন ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্সের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক অরিজিৎ বসু সই করেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও স্রেডার চেয়ারম্যান তাপস কুমার রায়, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, যুগ্ম সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, নেদারল্যান্ডস্ ডিভলপমেন্ট ওরর্গানাইজেশন এর কর্মসূচি প্রধান আসিফ উদ্দিন আহমেদস অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য বর্তমান চুলা ও জ্বালানির কার্যক্ষমতা বাড়ানো, কার্যক্রমের এলাকা চিহ্নিত করা, কার্যক্ষমতা বাড়ানো এবং আবাসিক বাড়িতে রান্নাঘরে ধোঁয়া কমানো। এ চুক্তির আলোকে উন্নত চুলা সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সেজন্য উন্নত চুলা সরবরাহ বাড়ানো এবং তার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করা হবে।