২৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় সম্ভব

বর্তমানে যে লাইট, ফ্যান, মটর, ফিদ্ধজ, এয়ারকন্ডিশন ব্যবহার করা হয় সেখানে সাশ্রয়ী যন্ত্র ব্যবহার করলে দুই হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যেত।
বুধবার বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে উপস্থাপন করা প্রবন্ধে এই তথ্য জানানো হয়। জ্বালানি বিভাগের যুগ্ম সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এই প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্ট এসোসিয়েশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে শিল্প উদ্যোক্তরা যথাযথ চাপে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চেীধুরী বীর বিক্রম বলেন, এখন সময় এসেছে জ্বালানি সাশ্রয়ের। চিন্তা করছি আইন করে জ্বালানি সাশ্রয় নিশ্চিত করার। এজন্য একটি সময় বেঁধে দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। ওই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেশে জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, এখন কোথাও বিদ্যুৎ না থাকলে সেটা স্থানীয় বিতরণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারনে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, শিল্পখাতে জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জ্বালানি সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে। সাথে সাথে জ্বালানির বহুমূখী ব্যবহারও সম্ভব হবে। টেকসই জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইত্যাদি বিষয়ে সরকার সচেতন। শিল্প কারখানায় কারিগরি দক্ষতা বাড়িয়ে জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার করতে হবে।
বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অন্যদের মধ্যে এফবিসিআই-এর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজের সভাপতি মো. শাহজাহান, বাংলাদেশ রিরোলিং স্টিল মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুবকর সিদ্দিক ও বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কে এম এইচ শহিদুল হক বক্তব্য রাখেন।
প্রবন্ধে বলা হয়, এখন লাইটে প্রতিদিন ব্যবহার হচ্ছে এক হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। গড়ে ৩৬ ওয়াটের এলইডি লাইট ব্যবহার করলে এখানে এক হাজার ২০ মেগাওয়াট সাশ্র্রয় করা সম্ভব। টিউব লাইটের ব্যালাষ্টে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। সেখানেও ৩০ মেগাওয়াট, ফ্রিজে ৩৫০ মেগাওয়াট থেকে ৭০ মেগাওয়াট, শীতাতপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্রে এক হাজার ৬০০ থেকে ৬৪০ মেগাওয়াট, ফ্যানে এক হাজার ৩০০ মেগাওয়াট থেকে ৫০০ মেগাওয়াট এবং মটরে এক হাজার ৮০০ মেগাওয়াটের স্থলে ৩৬০ মেগাওয়াট সাশ্রয় করা সম্ভব।
কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রর উদ্যোগ সরকারের সহসী পদক্ষেপ ছিল। এর ফলে দেশের উন্নয়নের গতি তরান্বিত হয়েছে। এটার সমালোচনা তারাই করে যারা অন্ধকার ভালবাসে। অন্ধকার নিয়ে তারা আন্দোলন করতে চায়। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ পাচ্ছে না।
আবুবকর সিদ্দিক বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমত গ্যাস এবং বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। অথচ সরকার বারবারই এইখাতের উন্নয়নের কথা বলছেন।