৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি

কয়লভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সিঙ্গাপুরের কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। দুই দেশের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সমান মালিকানা লাভ করবে। আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির এ কেন্দ্রটি পরিবেশ দূষন কম হওয়ার পাশাপাশি বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
সিঙ্গাপুরের কোম্পানি সেমবকর্পের এর সঙ্গে ৭০০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (সিবিজিসিবিএল)।
বুধবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তিহলে সিবিজিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম এবং  সেমবকর্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট তান চ্যাং ওয়াং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কেন্দ্রটি কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে সিবিজিসিবিএল এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাড়ে তিন কিলোমিটার উত্তরে নির্মাণ করা হবে। শিগগির বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সমীক্ষার কাজ শুরু করবে সেমবকর্প।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুত জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ১০ হাজার মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এরমধ্যে চার থেকে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট পাইপ লাইনে রয়েছে। এছাড়া আমরা দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং মালেশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছি। আমাদের এখন জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগ। আমরা চেষ্টা করছি এটাকে আট থেকে ১০ ভাগের মধ্যে উন্নীত করতে। এজন্য উদ্যোক্তাদের বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির নিশ্চয়তা দিতে হবে। তিনি বলেন, সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানি আমদানির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। চলতি মাসেই এজন্য এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের চুড়ান্ত চুক্তি হবে বলে জানান তিনি।
বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এখন বিদ্যুতের প্রচুর চাহিদা। এই চাহিদা পুরণে জ্বালানিও প্রয়োজন প্রচুর। কক্সবাজরের মাতারবাড়িতে স্থাপিতব্য কেন্দ্রটির সমীক্ষার কাজ দ্রুত শুরু করার আহ্বান জানান তিনি। যাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসতে পারে। সেমকর্পের গ্র“প প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টাং কিন ফি বলেন, কেন্দ্রটি হবে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির। যাতে পরিবেশ দূষন কম হওয়ার পাশাপাশি বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
গত ১৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সিংগাপুরের সাথে বাংলাদেশে জি-টু-জি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। এতে বাংলাদেশে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা, উন্নয়ন, অর্থায়ন, কনস্ট্রাকশন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষন ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয় অর্ন্তভুক্ত ছিল।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব আহমেদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারম্যান কে. এম. হাসান, সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার স্যাং হ্যাং ইউং বক্তব্য রাখেন।