অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এশিয়ায় জ্বালানি ঝুঁকি বাড়ছে
দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি ঘাটতি আছে। আবার যে সম্ভাবনা আছে তা দিয়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। দক্ষিণ এশিয়ার এক দেশের সাথে অন্য দেশের সহযোগিতার মাধ্যমে এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
বুধবার বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রেটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) নিজস্ব মিলনায়তনে ‘দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি নিরাপত্তা: জাপানের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক দুদিনের আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিআইআইএসএস’র চেয়ারম্যান মুন্সী ফয়েজ আহমেদ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাটো ওয়াটানাবে, বিআইআইএসএস’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়া জ্বালানি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিশ্বজুড়ে জ্বালানি চাহিদা নিশ্চিত করা উন্নয়নের প্রথম কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এই অবস্থা তৈরী হয়েছে। অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এশিয়ায় জ্বালানি ঝুঁকি বাড়ছে। এজন্য নিজস্বভাবে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আঞ্চলিক জ্বালানি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। জ্বালানি ঘাটতি দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশেরই সমস্যা। বিশ্বজুড়ে জ্বালানি পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তি পরিবর্তন হয়েছে। জ্বালানি ব্যবহারে বৈচিত্র এসেছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার লক্ষ ঠিক করা হয়েছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই লক্ষ পূরণ করা হবে। এজন্য প্রয়োজন হবে আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা। দীর্ঘ মেয়াদে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টেকসই আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। উপ-অঞ্চলিক বিদ্যুৎ সহযোগিতয়ে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ, ভারত, ভূটান ও নেপাল উপ-অঞ্চলিক বিদ্যুৎ সংযোগ নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান চলমান উদ্যোগগুলো জানান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিগগিরই স্থলভাগে দুটি এলএনজি টার্মিনাল বসানো হবে। দক্ষিণ এশিয়ায় জলবিদ্যুতের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। জলবিদ্যুৎ বিনিময় করে দক্ষিণ এশিয়া জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।