তিতাস লভ্যাংশ দিল ৩৮ শতাংশ

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি তার অংশীদারদের জন্য ৩৮ শতাংশ হারে লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে। এদিকে আবাসিকে গ্যাসের দাম দ্বিগুন করার প্রস্তাব দেয়ায় অংশীদাররা কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার অফিসার্স কাবে অনুষ্ঠিত তিতাস গ্যাসের ৩৩ তম সাধারণ সভায় বছর শেষের লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
তিতাস গ্যাস গত অর্থ বছরে ১৪ হাজার ৭৩২ মিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস বিক্রি করে সাত হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। যা আগের বছরের তুলনায় চার দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। এই বছরে করপূর্ব এক হাজার ৩৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। সরকারি কোষাগারে ৬১৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। গত অর্থবছরে তিতাস সরকারি কোষাগারে  ৭১৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা জমা দিয়েছে।
তিতাসের অংশীদার শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ৪৫০ টাকার আবাসিকের গ্যাস এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যিনি এই প্রস্তাব তৈরি করেছেন, তিনি গাঁজা করেছেন। তা না হলে এত বেশি করবেন কেন? তিতাস গ্যাস মুনাফা করছে। প্রতি বছরেই মুনাফা বাড়ছে। তাহলে আবাসিকে কেন দ্বিগুণ দাম বাাড়ানোর প্রস্তাব করা হল? দেলোয়ার হোসেন বলেন, একেবারে দ্বিগুণ না করে সামান্য পরিমাণে বাড়ানো উচিত হবে।
আব্দুল মতিন বলেন, পাইপ লাইনে বিপুল পরিমাণ চুরি ঠেকানো গেলে দাম এত বাড়ানোর প্রয়োজন হত না।
অংশীদারদের এসব বক্তব্যের জবাবে তিতাস গ্যাসের চেয়ারম্যান জ্বালানি বিভাগের সচিব আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গ্রামের এক পরিবার কাঠ অথবা সিলিন্ডার ব্যবহার করলে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু যারা পাইপের গ্যাস ব্যবহার করছে তারা কেন কম দামে পাবে। বর্তমানে ৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি আছে। আগামী জুন মাস নাগাদ বিবিয়ানা থেকে বাড়তি ৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেলে পরিস্থিতি উন্নতি হবে।