অব্যবস্থাপনা, দুর্বলতা ও অপচয় কমিয়ে খরচ কমানো উচিৎ

সম্পাদকীয়:

আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে বলে জানানো হয়েছিল। গত কয়েকদিন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে এসেছে। কিন্তু কোন প্রতিফল নেই।
বর্তমানে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৬ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। যখন দাম বাড়ানো হয়েছিল তখন একশ’ ডলারের উপরে ছিল।
যখনই তেলের দাম বাড়ানো হয় তখন দুটো কারণ সামনে আনে সরকার। এক আন্তর্জাতিক বাজার আর দুই প্রতিবেশি দেশ ভারতে পাচার হয়ে যাওয়া।
কিন্তু সময়মত এর উল্টোটা দেখা যায় না। আন্তর্জাতিক বাজারে কমলে কমে না। এরআগে গতবছর নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। পরে কমে গেলেও কমানো হয়নি।
ভারতের দামের সাথে প্রায় সমান ফলে পাচারের সম্ভাবনা নেই। থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণ করতেহবে। আর আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে তাই এখন দাম কমানোর দাবি যৌক্তিকভাবে তোলা যেতে পারে।
২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত বিপিসি ৪৬ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে লাভ করেছে আরও ১ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। বছরের পর বছর এভাবে লাভ দাম কমানো হয়নি। আর যখন সব জিনিসের দাম বাড়তি, যখন মূল্যস্ফীতি নাগালের বাইরে তখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় একলাফে অস্বাভাবিক দাম বাড়ানো হয়েছে।
কর কমিয়ে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা যায়। জ্বালানি তেল আমদানিতে বিভিন্নভাবে ৩৪ শতাংশ কর নেয়া হয়। এটা কমালে স্বাভাবিকভাবেই দাম কমে আসবে। জ্বালানি তেল আমদানিতে আমদানি শুল্ক, ভ্যাট, অগ্রিম কর, দুই ধরনের আয়করসহ নানা ধরনের কর নেয়া হয়। এতে প্রথমেই খরচ বেড়ে যায়। অন্য কোন আমাদনি পণ্যে এই পরিমান কর ভ্যাট নেয়া হয় না।
এ খাতের অব্যবস্থাপনা, দুর্বলতা ও অপচয় কমিয়ে খরচ কমানো যায়। জ্বালানি তেলের অপচয় কমিয়ে, খরচ কমিয়ে কর কমিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিৎ।