অস্ট্রেলিয়া সরকার কার্বন কর বাতিল করেছে
গত বুধবার সিনেটে ভোটের মাধ্যমে কার্বন কর বাতিল করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবেলায় আর্থিক লড়াই থেকে প্রথম দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াই সরে এল। ২০১২ সালে দেশের শীর্ষ ৩০০ প্রতিষ্ঠানে উত্পন্ন প্রতি টন গ্রিনহাউস গ্যাসের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৩ অস্ট্রেলীয় ডলারের একটি কর ধার্য করে তত্কালীন লেবার পার্টি সরকার। বুধবার এ কর বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোটের লিবারেল পার্টি ও ন্যাশনাল পার্টির জোট সরকার।
এ প্রসঙ্গে দ্য ক্লাইমেট ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জন কনর বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন ক্রমান্বয়ে জ্বালানিদূষণ কমানোর লক্ষ্য পূরণে নজর দিচ্ছে। এ কর বাতিল হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার সামনে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে কোনো জুতসই পরিকল্পনা রইল না। তিনি এ ভোটগ্রহণকে দায়িত্বহীনতার ঐতিহাসিক পদেক্ষপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনেই আগামী নভেম্বরে শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি২০-এর নবম সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে জলবায়ু ইস্যুই সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ অনেক দিন ধরেই জলবায়ু ইস্যুতে একটি আন্তর্জাতিক নীতিমালা দাবি করে আসছিল। এ কার্বন কর বাতিলের কারণে জি২০-এর সম্মেলনে জলবায়ুবিষয়ক আলোচনা ভিন্ন মোড় নিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জলবায়ু সচিব কনি হেডেগার্ড এক বিবৃতিতে জানান, যখন বিশ্বজুড়ে নিঃসরিত কার্বনের নতুন মূল্য কাঠামো গৃহীত হচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ার কার্বন কর বাতিলের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক। এ অস্ট্রেলিয়াকেই আগামী বছর নিজেদের কার্বন নিঃসরণ বিনিময় কাঠামোয় যুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল ইইউর। এরই মধ্যে জাপান ও কানাডা গ্রিসহাউস কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। অস্ট্রেলিয়াই একমাত্র দেশ, যেটি একটি কার্যকর ও প্রতিষ্ঠিত কার্বন কর কাঠামোকে বাতিল করে দিল।