আওয়ামী লীগ সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। এ কারণে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের উন্নয়ন করছে।
রোববার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দশ উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমেরও উদ্বোধন ও চার বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় এসে আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল ঘরে ঘরে আলো জ্বালাবো। মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবো। প্রতিটি অঞ্চল উন্নত করব। সুষম বণ্টন নিশ্চিত করব। আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। তিনি বলেন, উন্নয়নে বিদ্যুৎ উৎপাদন একান্ত অপরিহার্য। আমাদের চেষ্টা ছিল; কত দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। এর অংশ হিসেবে রূপপুর পরমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সৌর বিদ্যুতের উৎপাদিত অতিরিক্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে আসবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশ পিছিয়ে গিয়েছিল। বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত আট বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়েনি। বিএনপি দিয়েছিল ১৬০০ মেগাওয়াট। আর আমরা দিচ্ছি ১৬ হাজার মেগাওয়াট। এ সরকার দায়িত্ব নেয়ার সময় ২০০৯ সালের শুরুতে দেশে ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল। এখন ১১২টি কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। বিএনপির সময় দেশে বিদ্যুৎ ছিল না, রাজধানীর অনেক এলাকা অন্ধকারে ছিল।
তিনি বলেন, শিল্প উন্নয়নসহ যে কাজই করতে যাই বিদ্যুৎ প্রয়োজন। তাই আমাদের লক্ষ্য ছিল কত দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। দুর্গম এলাকায়ও সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি। এখন গ্রামে বসে কাজ করার সুযোগ করে দিচ্ছি। মানুষের জীবন সুন্দর ও সহজ করতে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল বলেই জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। আমরা চাই, মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়। সেজন্যই আমাদের এই চেষ্টা। আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে দেশের উন্নয়ন যে সম্ভব; তা আমরা প্রমাণ করেছি।
উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতার পর প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আহমদ কায়কাউস জানান, ২০০৯ সালের শুরুতে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট; গ্রাহক ছিল এক কোটি আট লাখ। এখন ১৬ হাজার ১৪৯ মেগাওয়াট হয়েছে। আর গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটি ৭০ লাখ।