আওয়ামী লীগের ইশতেহার: প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ যাবে
আগামী পাঁচ বছরে প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার অঙ্গিকার করেছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে এই অঙ্গিকার করেছেন।
শেখ হাসিনা নির্বাচনি ইশতেহারে বলেন, সকলের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। দেশের কয়লা সম্পদের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত;
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী যে কোনো দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রার একটি অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। বঙ্গবন্ধু সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদে জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ সমুন্নত রেখে রাষ্ট্রের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশীয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের উপর রাষ্ট্রীয় মালিকানাপ্রতিষ্ঠা করেন। পঁচাত্তরের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তি ক্ষমতাসীন হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী নিরাপত্তা অবহেলার শিকার হয়। ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। পরবর্তীকালে বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় আবারও মুখ থুবড়ে পড়ে। দেশ এখন আবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে।
লক্ষ্য ও পরিকল্পনা
২০২৩ সালের মধ্যে ২৮,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং প্রায় ২৩,০০০ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে সকলের জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হবে।
২০২৩ সালের মধ্যে প্রায় ৫ লক্ষ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে।
মহেশখালী ও মাতারবাড়ী অঞ্চলে ১টি এবং পায়রাতে ১টি করে ‘এনার্জি হাব’ গড়ে তোলা হবে।
২০২৩ সালের মধ্যে মোট ৫,০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সমপরিমাণ এলএনজি সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের অধিকতর কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে ভারতের শিলিগুড়ি টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ পাইপলাইন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ৩০৫ কিলোমিটার পাইপলাইন, গভীর সমুদ্র থেকে চট্টগ্রামে তেল আনার লক্ষ্যে পাইপ লাইনসহ ইতোপূর্বে গৃহীত অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
ইস্টার্ণ রিফাইনারীর (ইআরএল) জ্বালানি তেল পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ মেট্রিক টন থেকে বৃদ্ধি করে ৪৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে রিফাইনারী প্রতিষ্ঠায় সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।