আগামী পাঁচ বছর বিদ্যুতে ৮২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর বিদ্যুৎখাতে ৮২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। এরমধ্যে ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। বাকী অর্থ জোগাড় করতে হবে।
আজ বৃহষ্পতিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্স্টি্টিউটের তড়িৎপ্রকৌশল বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে তিনি একথা বলেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্স্টি্টিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন তড়িৎপ্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন সরকার। আলোচনায় অংশ নেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আমদ কায়কাউস, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, আইইবি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুজ্জামানসহ অন্যরা।
‘আন্তঃসীমান্ত ও আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য: বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনা’ বিষয়ক এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিডিবি’র আইপিপি সেলের পরিচালক মাহবুব রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশি দেশের সাথে বিদ্যুৎ বাণিজ্য হতে গেলে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দরকার। রাজনৈতিক মতৈক্য না হলে এই বাণিজ্য সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমরা বিদ্যুৎ আমদানি করা শুরু করলে রপ্তানিও করতে পারবো। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে অনেক পুঁজি দরকার। জনবল দরকার। যা আমাদের নেই।
সনাতন পদ্ধতিতে জ্বালানির দাম নির্ধারণ সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। বলেন, ভবিষ্যতে যখন অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে আর বিভিন্ন জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে তখন ঘনঘন এর দাম সমন্বয় করতে হবে। এখন আর ১০ বছরের ভবিষ্যৎবাণী দেয়া যায় না। তেল ও কয়লা থেকে পৃথিবীর অনেক দেশ বের হয়ে আসছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বড় বাজার তৈরি করে ফেলেছে। এগুলো খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। ডিজেল আমদানিতে লিটারে পাঁচ টাকা এবং কোরোসিনে ১১ টাকা করে লোকসান দিতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, গতএকমাসে আরইবি চার লাখ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। তিনি বলেন, লাউস বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে। চীন থেকেও্ বিদ্যুৎ আমদানির বিষয় পর্যালোচনা চলছে। মিয়ানমার দিয়ে এই বিদ্যুৎ আনা হবে।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, নেপাল, ভূটান, চীন, মিয়ানমার থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রচুর সম্ভাবনা আছে।