আগামী মাসে মধ্যপাড়া খনি থেকে পাথর উত্তোলন শুরু হবে

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া খনি থেকে গত এক বছর ধরে পাথর উৎপাদন বন্ধ ছিল। আগামী মাসেই এই খনি থেকে নতুন করে পাথর উত্তোলন শুরু হতে যাচ্ছে। এজন্য যন্ত্রপাতি সংযোজন ও বসানোর কাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে।

খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাদ ইসলাম বলেন, শিগগির পাথর উৎপাদন শুরু করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসিকে জোর তাগাদা দেয়া হয়েছে। অক্টোবর মাসের শেষে এক শিফটে পাথর উত্তোলন শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খনির প্রধান খননযন্ত্র রেইজ বোরিং মেশিন ভূ-গর্ভে বসানো হয়েছে। উপরের স্তরের পাথর ভাঙার যন্ত্র সারফেজ ক্র্যাশিং ও সর্টিং প্লান্টে যন্ত্রপাতি সংযোজনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে মাচিং লোডার এবং ড্রিলিং জাম্বু মেশিন সংযোজন ও বসানোর কাজ চলছে। সব মিলে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে স্তর উন্নয়ন কাজ শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ খনি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ আছে, জিটিসির কাজের ধীর গতির কারণেই এতদিন পাথর উত্তোলন বন্ধ ছিল।

২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর এ খনির ঠিকাদার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় বেলারুশের জেএসসি ট্রেস্ট সকটোস্ট্রয় ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া করপোরেশন লিমিটেড নিয়ে গঠিত জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামকে (জিটিসি)। জিটিসির ১৭১ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ৬ বছরে ৯২ লাখ (৯ দশমিক ২ মিলিয়ন টন) টন পাথর উত্তোলন করে দেয়ার কথা।

২০১৪ সালের ২৪ ফেব্র“য়ারি থেকে পাথর  উত্তোলন শুরু করে জিটিসি। এরপর তিন শিফটে প্রতিদিন সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল। এ অবস্থায় নতুন স্তর উন্নয়নের জন্য নতুন যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়।

জিটিসি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার খনির যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য খনি কর্তৃপক্ষকে চাহিদাপত্র দেয়। সে সময় যন্ত্রপাতিসহ অন্য মালামালের বাজারমূল্য ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনা নিয়ে জিটিসির সঙ্গে খনির কর্তৃপক্ষকের মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে পেট্রোবাংলার হস্তক্ষেপে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৮৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আমদানির উদ্যোগ নেয় খনি কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের মার্চ মাসে যন্ত্রপাতি আসার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে সব যন্ত্রপাতি আসেনি।

২০০৭ সালের ২৫ মে দেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ গ্রানাইট শিলা খনি থেকে প্রথম উৎপাদন শুরু হয়।