আগামী ৫ বছরে ১ কোটি ৩২ লাখ প্রিপেইড মিটার বসানো হবে

আগামী পাঁচ বছরে (২০১৬-২১ সাল) দেশে ১ কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি মিটার স্থাপন করবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)।
‘গ্রাহকসেবায় প্রি-পেমেন্ট মিটার প্রবর্তন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে রোববার বিদ্যুৎ ভবনের মুক্তি হলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এই আলোচনার আয়োজন করে।
সভায় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দক্ষ জনবলের অভাব ও মিটার রিডারদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কী হবে—এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিলম্বিত হওয়ায় প্রি-পেইড মিটার প্রকল্পের গতি শ্লথ হয়ে গেছে। তিনি প্রি-পেইড মিটারের বিল অনলাইনে লেনদেনের ব্যবস্থা করার জন্য ব্যবস্থাপকদের পরামর্শ দেন।
সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান শামসুল হাসান মিয়া বক্তব্য দেন। সভায় প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারের সুবিধা এবং আগামী পাঁচ বছরে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের বিস্তারিত কার্যক্রম সম্পর্কে আলাদা দুটি উপস্থাপনা করেন যথাক্রমে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল হাসান ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান শাহ্ মো. হেলালউদ্দিন।
এতে বলা হয়, প্রি-পেইড মিটার হলে বিল দেওয়ার জন্য আলাদা ঝামেলা থাকবে না। গ্রাহক ভেন্ডিং স্টেশনে গিয়ে কার্ড রিচার্জ করে তা মিটারে যুক্ত করবেন। যেকোনো সময় গ্রাহক দেখতে পাবেন কত বিদ্যুৎ খরচ হলো, কত টাকা অবশিষ্ট রয়েছে। বিতরণ কোম্পানি বিদ্যুৎ দেওয়ার আগেই সব টাকা পেয়ে যাবে। বিল তৈরি ও বিতরণের ঝামেলা ও ব্যয় কমবে। কোনো বকেয়া থাকবে না। লাইন কাটার প্রশ্ন উঠবে না।
উপস্থাপনায় বলা হয়, মিটারে টাকার পরিমাণ কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এলে মিটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংকেত দেবে। এই পর্যায়ে কার্ডের মাধ্যমে টাকা চার্জ না করলে মিটার তথা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। তবে সাপ্তাহিক বা অন্যান্য ছুটির দিনে মিটার বন্ধ হবে না। টাকা একেবারে শেষ হয়ে গেলেও সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত মিটার চালু থাকবে। এই সময়ের মধ্যে মিটার রিচার্জ করতে হবে।
এখন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকসহ কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও সিরাজগঞ্জে মোট ১ লাখ ৯ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এর গ্রাহকেরা এসব মিটার নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট বলে জানা গেছে। অন্য গ্রাহকেরাও এখন প্রি-পেইড মিটার চাইছেন। বিতরণ কোম্পানিগুলোই এই মিটার সরবরাহ ও স্থাপন করে দেবে। গ্রাহক এর দাম একবারে কিংবা কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন।