পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্পের আব্দুল্লাহর ছিলা ও পঁচাকোড়ালিয়া এলাকায় লাগা আগুন নিভেছে। আগুনে কমপক্ষে ৮ একর বনভূমির ক্ষতি হয়েছে।
তবে আবার সেখানে যেন আগুন না লাগে সেজন্য বন বিভাগের কর্মীরা পর্যবেক্ষণ করছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক (সিএফ) জহির উদ্দিনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে বন বিভাগের তদন্ত কমিটির প্রধান চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক বেলায়েত হোসেন বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি। মধু সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত আগুন থেকে এ ঘটনা ঘটেতে পারে। তবে আমরা সবদিক মাথায় রেখে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। বনবিভাগ গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- ঢাংমারি ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ও চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা গাজি মতিয়ার রহমান।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনের আশেপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের অবাধ বিচরণও বার বার আগুন লাগার অন্যতম কারণ। বার বার আগুনের হাত থেকে সুন্দরবনকে রক্ষায় বনসংলগ্ন এলাকাবাসীকে সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি বন বিভাগের জন্য নিজস্ব ফায়ার স্টেশন স্থাপনের ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
গত বুধবার সকাল ১০টায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের পঁচাকোড়ালিয়া ও নাপিতখালী আগুন লাগে।