আজ জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস
আজ শুক্রবার, ৯ই আগস্ট জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস। এউপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
১৯৭৫ সালের ৯ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু বহুজাতিক কোম্পানি শেল ওয়েলের কাছ থেকে তিতাস, রশিদপুর, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ এবং কৈলাসটিলা গ্যাস ক্ষেত্র কিনে নেন। ওই সময়ে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে গ্যাসক্ষেত্রগুলো কিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এ উপলক্ষে প্রতিবছর এ দিন সরকার জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস পালন করে আসছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে গ্যাস আনা লাভজনক কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। ভারত থেকে বিদ্যুৎ নিচ্ছি, জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা দেখছি। জ্বালানিকে নিরাপদ করছি। যাতে পিছিয়ে না থাকি, পিছিয়ে থাকা মানে খরচ বেশি।
নসরুল হামিদ বলেন, যেভাবে আমাদের সম্ভাবনার জায়গা তৈরি হচ্ছে, সারাবিশ্বে এনার্জি ট্রানজিশন হচ্ছে, সেই ট্রানজিশনের কারণে কোন জায়গায় আছি। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্র বাছাই করে নিয়েছি, আমরা কয়লা, লিকুইড ফুয়েল, এলএনজি, নিজেদের ন্যাচারাল গ্যাস নিয়েছি। জ্বালানি হিসেবে রিনিউয়্যাবল এনার্জিকেও সঙ্গে নিয়েছি।
নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী জ্বালানির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশা করছি, জ্বালানি ক্ষেত্রে আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে একটা ভালো জায়গায় হবে। জ্বালানি ক্ষেত্রে সাশ্রয়ীটা সবচেয়ে বড় জায়গা তৈরি করছে।
তিনি বলেন, গ্যাসে যে যানবাহন চলে আমরা দেখেছি সেটার এফিশিয়েন্সি মাত্র ১৭ থেকে ২১ শতাংশ। সেই গ্যাস দিয়ে যদি বিদ্যুৎ উৎপাদন করি, সেই বিদ্যুৎ দিয়ে যানবাহন চালাই সেটার এফিশিয়েন্সি ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। এখানেও কিন্তু ভবিষ্যতে একটা ট্রানজিশন হবে হয়তো। চেষ্টা করছি, বিদ্যুৎচালিত যানবাহনগুলোকে আরও সহজতর করা যায় কিনা।