আজ বাংলাদেশ ভারত বিদ্যুৎখাতের যৌথ কমিটির সভা সিলেটে
ভারত আসাম ও ত্রিপুরা থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ নিতে বাংলাদেশের করিডোর চায়।
বাংলাদেশ ভারত যৌথ কমিটির বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা হবে। আজ সিলেটে দুই দেশের কমিটি সদস্যরা বৈঠক করবেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। ভারতের নেতৃত্বে দেবেন ভারতের বিদ্যুৎ সচিব অজয় কুমার ভাল্লা।
বৈঠকে বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির অর্গানোগ্রাম অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার ১৩ তম যৌথ কমিটি (জেএসসি) বৈঠক এটা। দুদিনের বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণায় সই হতে পারে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, দু’দেশের মধ্যে দুই দিনের আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেব। আলোচনার মাধ্যমে সব ঠিক হবে। তিনি বলেন, অরুণাচল জলবিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য করিডোরের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া সৌর বিদ্যুতের বিষয়েও আলোচনা করব। দ্বিপাক্ষিক যেসব বিষয় আছে সব আলোচনা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে চলমান প্রকল্পগুলো ভালভাবেই এগিয়ে চলেছে। নিদিস্ট সময়ে যেন সব শেষ হয় তা নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে ভারতের ঋণ, নতুন করে আরও বিদ্যুৎ আমদানি, বেসরকারিখাত থেকে বিদ্যুৎ আমদানিসহ বিভিন্ন বিষয় বৈঠকে আলোচনা হবে।
ভারত বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে ৩৫৭ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ভারত যে ঋণ দেবে তা থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ৯৪০ মিলিয়ন ডলার, ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে বাংলাদেশের বগুড়া পর্যন্ত বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন স্থাপনে ১৭৭ মিলিয়ন ডলার এবং সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১৫৭ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হতে পারে।
নেপালে ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর এর নির্মিতব্য জল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি, ঝাড়খণ্ড আদানি গ্রুপের প্রস্তাবিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনা এবং বাংলাদেশ-ভারত-ভুটান-নেপাল চর্তুদেশীয় বিদ্যুৎ গ্রীড নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা হবে।