আজ বিশ্ব পানি দিবস

পানির অপচয় রোধের আহ্বানে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক পানি দিবস উদ্যাপন হচ্ছে। পৃথিবীতে নিরাপদ ও সুপেয় পানির সুযোগবঞ্চিত ৬৬ কোটিরও বেশি মানুষ। বাংলাদেশের অনেক এলাকা এর বাইরে নয়। সব চেয়ে বেশি সংকটে উপকূলীয় এলাকা।
‘বর্জ্য পানি’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ পালিত হবে বিশ্ব পানি দিবস। দিবনটি উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।
দিবস উপলক্ষে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সন্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সকাল সাড়ে ৮টার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা হতে একটি শোভাযাত্রা বের হবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় দেশের সবাই এগিয়ে আসবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, পানি দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শুষ্ক মৌসুমে পানির অনিশ্চিয়তার কারণে খাদ্য উৎপাদন, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি বা বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। এ সমস্যা সমাধানকল্পে পানিধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নদীসমূহের ড্রেজিং এবং খাল পুনঃখনন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে বলেও বাণীতে তিনি উল্লেখ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখার জন্য কৃষি, শিল্পসহ সব ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য পানির প্রাপ্যতার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, ভূ-গর্ভস্থ পানির অত্যাধিক ব্যবহার, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ ও শিল্পায়ন, মারাত্মক পরিবেশ দূষণ, পানি প্রবাহে কৃত্রিম বাধা সৃষ্টি ও জলবায়ু পরিবর্তন সুপেয় পানির উৎসকে ক্রমশ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।