আঞ্চলিক ভিত্তিতে গ্যাস বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ

শিকলবাহা বিদু্যৎ কেন্দ্রর ছবি

আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ সব ধরনের অবকাঠামো ব্যবহারের কথা বলেছেন বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিকু হিগুচি। এ জন্য দেশগুলোর নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সংলাপ বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্যে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়া।

‘আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে অবকাঠামো উন্নয়ন :এডিবির ভূমিকা’ শীর্ষক এক বক্তৃতায় এ পরামর্শ দেন হিগুচি। নিয়মিত মাসিক ভোজ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এ বক্তৃতার আয়োজন করে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)। রাজধানীতে রূপসী বাংলা হোটেলে অনুষ্ঠিত এ ভোজসভায় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যামচেম সভাপতি আফতাব-উল-ইসলাম। স্বাগত বক্তৃতা দেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এ গফুর। বিভিন্ন চেম্বার ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন।
কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিজেদের বাণিজ্য যেখানে ৮০ শতাংশ, সেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় এ হার ৬ শতাংশের কম। উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অর্জনে নতুন ধারণার মাধ্যমে কীভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং আন্তঃবাণিজ্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে এক টেবিলে বসা উচিত। তবে আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নে এডিবির কোনো উদ্যোগ নেওয়া প্রসঙ্গে সরাসরি মন্তব্য করেননি তিনি। বক্তৃতায় আঞ্চলিক সংযোগে এডিবির বিভিন্ন কর্মসূচির বর্ণনা দেন তিনি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নে এডিবির পক্ষে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সভায় উপস্থিত অতিথিরা কাজুহিকু হিগুচির প্রতি অনুরোধ জানান।
অ্যামচেম সভাপতি বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা, আন্তঃবাণিজ্য ও পারস্পরিক আস্থার সম্পর্কসহ বিবেচনায় পৃথিবীর সব অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে আছে দক্ষিণ এশিয়া। আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সড়ক, বন্দর ও জ্বালানি সমস্যার সমাধান এবং আন্তঃবাণিজ্য বাড়ানোর মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাসে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা দুঃখজনকভাবে পূরণ হয়নি। ফলে এক দেশে প্রবল জ্বালানি সংকট, অন্য দেশ ভেসে যাচ্ছে সম্পদের জোয়ারে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এক নেপালের জ্বালানি দিয়েই গোটা অঞ্চল উপকৃত হতে পারে। সহযোগিতা ও সমঝোতার পরিবেশ তৈরি না হওয়ার পেছনে নিছক নেতৃত্ব সংকটকে দায়ী করেছেন তিনি।