আট বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ১০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
এক হাজার ৩৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ১০ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার ভিডিওকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এগুলো উদ্বোধন করবেন। এছাড়া বিবিয়ানা কালিয়াকৈর সঞ্চালন লাইন ও কালিয়াকৈর গ্রিড উপকেন্দ্রর উদ্বোধন করবেন।
আজ মঙ্গলবার বিদ্যুৎভবনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এতথ্য জানান। অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ ও আরইবির চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী এই প্রথমবারের মতো একই সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সঞ্চালন লাইন ও বিতরণ লাইনের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে সরকারি খাতের শাহজিবাজার ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশুগঞ্জ ৪৫০ বিদ্যুৎকেন্দ্র, খুলনা ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ২২৫ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ এবং বেসরকারি খাতের মানিকগঞ্জ ৫৫, নবাবগঞ্জ ৫৫, নারায়ণগঞ্জ ৫৫, জামালগঞ্জ ৯৫ এবং বরিশালের ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। শতভাগ উপজেলার মধ্যে আছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ, সাভার, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া, টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, ফেনীর দাগনভূঁইয়া, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, মেহেরপুরের মুজিবনগর এবং রংপুরের সৈয়দপুর।
নসরুল হামিদ বলেন, ত্রিপুরা থেকে আরো ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। আগে যে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছিল তার সঙ্গেই একই সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ আনা হবে। তিনি জানান, আগের চেয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ভালো হয়েছে। আগামী গ্রীষ্মে বিদ্যুতের অবস্থা আগের তুলনায় ভালো থাকবে বলে আশা করছি। তবে কিছু কিছু এলাকায় সরবরাহ সমস্যা হতে পারে। তবে পুরোপুরি ভালো অবস্থায় যেতে আরো দুই বছর লাগবে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিইআরসিকে বলা হয়েছে। এখন সেটি বিইআরসির ওপর নির্ভর করছে। তিনি জানান, বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আসতে শুরু করলেই বিদ্যুতের দাম কমবে। কিন্তু এখনই এই অবস্থা তৈরি হয়নি। বড় কেন্দ্রগুলো আসতে আরো অন্তত তিন বছর সময় লাগবে। তবে সবমিলিয়ে দাম কমিয়ে আনতে হলে ৫ থেকে ৬ বছর সময় লাগতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, জ্বালানি ঘাটতি পূরণে এলএনজি ও এলপিজি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। এ জন্য এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করা হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যেই এলএনজি আসবে বাংলাদেশে।
আরইবির চেয়ারম্যান বলেন, এরই মধ্যে ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি গত আগস্টে উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী আরো ১০টি উদ্বোধন করবেন। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ১৭টি এবং জুনের মধ্যে ৮৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া হবে। এভাবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৬০টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া হবে।