আণবিক শক্তি ক্ষেত্রে রুশ-চীন সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনা
আণবিক শক্তি ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলো রাশিয়া ও চীনের মধ্যে সহযোগিতার নতুন মাত্রা লাভ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রাশিয়া চীনের অভ্যন্তরীণ এলাকায় আণবিক শক্তি কেন্দ্র স্থাপনে নিজস্ব অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছে।
সম্প্রতি, মস্কোতে অনুষ্ঠিত এটমেক্সপো-২০১৪ চলাকালীন একটি সেশনে বক্তব্য প্রদানকালে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি কর্পোরেশন-রসএটমের মহাপরিচালক সের্গেই কিরিয়েন্কা বলেন, “চীনের সকল আণবিক শক্তি কেন্দ্রগুলো উপকুলবর্তী এলাকায় অবস্থিত। চীনে অভ্যন্তরভাগে বিদ্যুতের সংকট রয়েছে এবং দেশটির সে সকল এলাকায় আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে ইচ্ছুক।”
তিনি আরো বলেন, “রাশিয়ার এ ক্ষেত্রে অনন্য অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা সে সব স্বল্পসংখ্যক দেশগুলোর একটি, যাদের অনুরূপ এলাকায় আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা চীনের সাথে বিনিময় করতে প্রস্তুত।”
এছাড়াও রাশিয়া চীনের বিভিন্ন অংশীদারদের সাথে ফাস্ট ফিশন রিঅ্যাক্টর স্থাপনে সহযোগিতার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি এমন একটি পরীক্ষামূলক রিঅ্যাক্টর ২০১৩ সালে চালু করা হয়।
রাশিয়া এবং চীন স্বল্প ও মাঝারি ক্ষমতাস¤পন্ন ভাসমান আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে। সম্প্রতি সাংহাইয়ে দুদেশের রাষ্ট্র প্রধানদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এতদসংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাশিয়া চীনের তিয়ানওয়ান আণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ইতোমধ্যে দুটি ইউনিট নির্মাণ করেছে। অপর দুটির নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে এবং ২০১৭ সাল নাগাত এগুলো চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঐ প্রকল্পে আরো চারটি ইউনিট নির্মাণ নিয়ে চীনের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।