ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে গ্যাসের দাম বেড়েছে – প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্যাসে বিশাল ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। এই ভর্তূকি থেকে বেরিয়ে আসতে দাম বাড়ানো হয়েছে। যদিও সমস্যাগুলো সাধারণ জনগণের ওপরই বর্তায়। এছাড়া ভবিষ্যতে যে এলএনজি আসবে তার দাম বেশি। সেই দাম সমন্বয় করতে গ্যাসের দাম বাড়াতে হয়েছে।
আজ রোববার রাজধানির রেডিসন ব্লু হোটেলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক জ্বালানি সাশ্রয়ী দিবস ২০১৭ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশে জ্বালানি সাশ্রয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ এবং শিল্পের যারা বড় গ্যাস গ্রাহক তাদেরকে আগে থেকেই বলা হয়েছে প্রস্তুতি নিতে। আগামী দুই বছরের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি দেয়া হবে। এলএনজি আমদানি করে এই চাহিদা মেটানো হবে। তখন এলএনজির দাম বেশি হবে।
জ্বালানি তেলের দাম কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এখন বিশ্ব বাজারে তেলের দাম উঠা-নামা করছে। এটা স্থিতিশীল হলে হয়ত পদক্ষেপ নেব। আগামী কিছু দিনের মধ্যে কয়েকটি কোম্পানিকে বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানের গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রণালয়ের হাইড্রোকার্বন ইউনিট ও আইপিএজি আলোচনা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। তিন পর্বে আলাদা শিরোনামে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন পর্বে আলোচনায় অংশ নেন আইপিএজির চেয়ারম্যান সাঈদ মুনির খসরু, জ্বালানি ও খনজি সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ আরিফ হাসান মামুন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর ফয়জুল্লাহ, বিদ্যুত বিভাগের যুগ্ম সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, পেট্রোবাংলার জিএম লুৎফুর রহমানসহ জ্বালানি সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা।
সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জ্বালানির সাশ্রয়ি ব্যবহার বাড়াতে ইতিবাচক মনোভাব দরাকর। সাশ্রয়ি জ্বালানির পক্ষে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো গেলে দ্রুত সাফল্য পাওয়া যাবে।
সেমিনার বিশ্বে জ্বালানী সাশ্রয়ের উদাহরন, টেকসইনীতি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্পে জ্বালানি সাশ্রয়ের প্রচারনা বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাপেক্ষে বাংলাদেশের জ্বালানি সাশ্রয়ের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেন। এতে চীন, সিংগাপুর, ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মতামত ও দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেন।