আবার পারমাণবিক বিদ্যুতে ফিরছে জাপান

জাপানের পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বুধবার দেশটিতে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালুর অনুমতি দিয়েছে। ২০১১ সালে ফুকুশিমায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর এক ডজনেরও বেশি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়। খবর রয়টার্স।

জাপানের নিউক্লিয়ার রেগুলেশন অথরিটি (এনআরএ) জানায়, কাগোশিমা প্রদেশের সেন্দাই শহরে কিয়ুশু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির দুটি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর চালু করা যেতে পারে। অবশ্য এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন থেকে এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি।

১৯৬৬ সালের পর চলতি বছরই জাপান পারমাণবিক বিদ্যুত্হীন সময় কাটাচ্ছে এবং ২০১১ সালের বিপর্যয়ের পর এ খাতের প্রতি জনগণের অনাস্থা এখন সর্বোচ্চ। এছাড়া দেশটির ৪৮টির মধ্যে সবচেয়ে পুরনো রিঅ্যাক্টরগুলোকে পুুরোপুরি বন্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে এনআরএর প্রতি ক্রমাগত চাপ দেয়া হচ্ছে। এ রিঅ্যাক্টরগুলো অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, ৪০ বছরের পুরনো রিঅ্যাক্টরগুলো পুরোপুরি বন্ধ করতে পারলে তাতে পারমাণবিক বিদ্যুতের প্রতি জনগণের আস্থা কিছুটা বাড়তে পারে।

গত সপ্তাহে অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ইউকো ওবুচি বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি পুরনো রিঅ্যাক্টরগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ করার পাশাপাশি নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃত রিঅ্যাক্টরগুলো চালু করার পক্ষে।’ জ্বালানি আমদানির প্রতি নির্ভরতা কমাতে এনআরএর অনুমোদিত রিঅ্যাক্টরগুলো চালু করতে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক চাপ দেয়া হচ্ছে।

ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর নতুন নিয়ম অনুসারে চালুর ৪০ বছর পর রিঅ্যাক্টরগুলোকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। তবে নানা নিরাপত্তা পর্যালোচনা শেষে মেয়াদ আরো ২০ বছর বাড়ানো যেতে পারে। এক বছর আগে রয়টার্সের এক হিসাবে জানানো হয়েছিল, উচ্চ পরিচালনা খরচ ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে ৪৮টি রিঅ্যাক্টরের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এনআরএ অনুমতি দিলেও নিরাপত্তা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ এখনো বাকি আছে। সেন্দাইয়ের মেয়র ও কাগোশিমার গভর্নর প্লান্ট খুলে দেয়ার পক্ষে থাকলেও স্থানীয় জনগণ পুরোপুরি চিন্তামুক্ত নন। বিশেষ করে এ অঞ্চলের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ঝুঁকি নিয়ে তারা বেশি চিন্তিত। স্থানীয় পত্রিকায় বলা হয়েছে আগামী বছরের আগে প্লান্টটি তার কার্যক্রম শুরু করতে পারবে না।