আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ
আবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুৎ উল্পুয়ন বোর্ড (পিডিবি)। পাইকারি বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি প্রায় ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ বা ৮১ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এ মাসের মধ্যেই খুচরা অর্থাৎ সাধারণ গ্রাহকদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য বিতরণ কোম্পানিও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে বলে মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে।
আগামী বছরের শুরু থেকে অর্থাৎ ১লা জানুয়ারি থেকে প্রস্তাবিত বিদ্যুতের দাম কার্যকর করার আবেদন করেছে তারা। সোমবার পিডিবি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে এ প্রস্তাব জমা দেয়।
পিডিবির চেয়ারম্যান আ¦ন্ধুহু রুহুল্লাহ জানান, ভর্তুকি কমাতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসিতে দেয়া হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যেই খুচরা পর্যায়ে কি পরিমান বাড়ানোর প্রয়োজন তা ঠিক করে প্রস্তাব জমা দেয়া হবে।
পিডিবি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসি পেয়েছে বলে বিইআরসি সদস্য সেলিম মাহমুদ জানান।
পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়, যদি পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানো হয় তবে চলতি বছরে পিডিবির ভুকির পরিমাণ বেড়ে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াবে। আর যদি প্রস্তাব অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় তবে ভর্তুকির পরিমান চার হাজার কোটি টাকা হবে।
পিডিবির কাছ থেকে বিতরণ কোম্পানিগুলো ইউনিট প্রতি চার টাকা ৭০ পয়সা করে কেনে। এই দাম বাড়িয়ে পাঁচ টাকা ৫১ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পিডিবি’র বর্তমানে গড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ হয় ছয় টাকা ৫৪ পয়সা। আর বিক্রি করে চার টাকা ৭০ পয়সা। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে লোকসান এক টাকা ৮৪ পয়সা।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে এরইমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগে কয়েকটি বৈঠক করা হয়েছে। মন্ত্রনালয়ের সম্মতি নিয়ে এই প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে।
বিইআরসির একজন কর্মকর্তা জানান, পিডিবির প্রস্তাব কমিশন আমলে নিয়ে প্রস্তাবটি যাচাই বাছাই করে গণশুনানী করবে। এর পর কমিশনের কাছে বিষয়টি যুক্তিসঙ্গত মনে হলে দাম বাড়াবে। পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়লে সঙ্গে সঙ্গেই গ্রাহক পর্যায়ে খুচরা বিদ্যুতের দামও বাড়তে পারে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ১২ই মার্চ গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতি ইউনিট ৪০ পয়সা করে অর্থাৎ ছয় দশমিক ৯৬ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। যা মার্চ মাস থেকেই কার্যকর করা হয়।
পিডিবি নিজে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এছাড়া বেসরকারি ভাবে উৎপাদন করা বিদ্যুৎও কেনে। তারপর বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে। বিতরণ কোস্পানি অর্থাৎ ডিপিডিসি, ডেসকো, ওজোপাডিকো ও আরইবির কাছ থেকে সাধারণ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ নিয়ে থাকে।