আবার লঘুচাপ: সাগরে তিন, নদীতে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত
আবার উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। লঘুচাপ ও মৌসুমী বায়ুর কারণে বার বার বাতাসের গতিবেগের পরিবর্তন হচ্ছে। এ কারণে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে। ফলে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত এবং নদীতে দুই নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহের শেষে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। সেটি পরে নিুচাপে পরিণত হয়ে ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায, পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
এক সতর্কবাতায় বলা হয়, লঘুচাপের কারণে বাতাসের গতিবেগের পার্থক্য ও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর গুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর উপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর গুলোকে ২ নম্বর নৌ- হুশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্য এলাকার নদীবন্দর গুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ী এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসেরও আশংকা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।