আবার স্থলভাগে খনিজ অনুসন্ধানে আইওসি

স্থলভাগে আবার বিদেশী কোম্পানি দিয়ে তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।  বাপেক্সের জন্য নির্ধারিত কিছু এলাকা রেখে অন্য এলাকা বিদেশী কোম্পানিকে দেয়া হবে। অন্যদিকে অর্থনৈতিক এলাকা ছাড়া পর্যায়ক্রমে শিল্পেও গ্যাস দেয়া বন্ধ হবে। আর এখন থেকেই ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস দেয়া হবে না।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বৃহস্পতিবার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স, বাংলাদেশ (এফইআরবি) এর সাথে বিদ্যুৎ ভবনে অনুষ্ঠিত মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে একথা বলেন। এসময় জ্বালানি সচিব আবু বক্কর সিদ্দিকী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম, বিপিসি চেয়ারম্যান এ এম বদরুদ্দোজা, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ডিপিডিসি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) নজরুল হাসান, এফইআরবি চেয়ারম্যান মোল্লাহ আমজাদ হোসেন, এফইআরবি গবেষনা ও প্রশিক্ষণ পরিচালক রফিকুল বাসারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা জেনারেটরে পাইপ লাইনের গ্যাস দেয়া হবে না। একই সঙ্গে পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া অন্য স্থানে স্থাপিত কারখানায় নতুন গ্যাস সংযোগ পাবে না। তবে প্রস্তুত বা নির্মিতব্য কারখানা, যারা সংযোগের জন্য আবেদন করেছে তাদের পর্যায়ক্রমে গ্যাস দেয়া হবে। আসন্ন বাজেটে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে ভর্তূকি রাখা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সর্বোত্তম ব্যবহারে উপায় খুঁজে বের করেতে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এখানে একটি নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
জ্বালানি সচিব বলেন, উৎপাদন অংশীদারি চুক্তির (পিএসসি) বাইরে গিয়ে বিদেশী কোম্পানির সাথে কাজ করা হবে না। গ্যাসের দামও বাড়ানো হবে না। কনোকো ফিলিপস সমুদ্রে অনুসন্ধান কাজ করবে না বলে জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে টিআইবি যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা অসম্পূর্ণ। তবুও সেখানে বিচ্ছিন্ন যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য অনুসন্ধান হচ্ছে। যে কর্মকর্তা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন এবিষয়ে তদন্ত করছে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। স্বল্প মেয়াদি অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়েছে। মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় লাগবে। তিনি বলেন, নবায়ন যোগ্য জ্বালানি প্রসারে কাজ চলছে। ছোট ছোট ছাড়াও ১০০ মেগাওয়াটের সৌর প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের মধ্যে শুরু হবে। এক্ষেত্রে জমি বড় বাঁধা বলে তিনি মনে করেন।
তেল গ্যাস অনুসন্ধানে বাপেক্সেকে আরও শক্তিশালি করার জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। বিশ্বের উন্নত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে কাজ করবে বাপেক্স । এজন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা শিগগিরই করা হবে। তিনি বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষের কাছে এলপিজি পৌছে দেয়া হবে।  এজন্য প্রয়োজনে এলপিজিতে ভর্তূকি দেয়া হবে। এবিষয়ে পরিকল্পনা তৈরী  হচ্ছে।