আমদানি করা ফার্নেস অয়েলের কর মওকুফের প্রস্তাব দিয়েছে বিপিসি

বিদ্যুেকন্দ্রে ব্যবহারের জন্য আমদানিকৃত ফার্নেস অয়েলের ওপর কর মওকুফ করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)। এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিস্তারিত জানিয়ে দ্রুত চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।

গতকাল জ্বালানি বিভাগে অনুষ্ঠিত এক আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জ্বালানি সচিব মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিদ্যুত্, জ্বালানি, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জানানো হয়, বছরে বিপিসি প্রায় সাত লাখ টনের মতো ফার্নেস অয়েল আমদানি করে। এর বেশিরভাগই বিদ্যুত্ উত্পাদনে ব্যবহার হয়। ২০১১ সালের সরকারের একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ি বিদ্যুত্ উত্পাদনে জ্বালানি আমদানির উপর কর অবকাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে বেসরকারি সংস্থাগুলো তাদের প্রয়োজন অনুযায়ি তেল আমদানি করতে গিয়ে এ সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে বিপিসি এখনও কর দিয়ে আসছে। কর মওকুফ করলে বিপিসি বিরাট অঙ্কের লোকশানের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে বৈঠকে জানানো হয়। চলতি বছর বিসিসি মনে করছে তাদের প্রায় দুই হাজার ৯০০ কোটি টাকার কাছাকাছি লোকসান হবে।

জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলে এনবিআর এর প্রতিনিধি জ্বালানি বিভাগকে লিখিতভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে প্রস্তাব দিতে বলেন। পরে বৈঠকে বিপিসির দিক থেকে যে সমস্যা রয়েছে তা এনবিআরকে জানানো হবে এবংএসব বিষয় বিবেচনা করে এনবিআরকে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এখন প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েল ৬০ টাকায় বিক্রি করে বিপিসি। কিন্তু সব কিছু মিলিয়ে বিপিসির খরচ হয় লিটার প্রতি ৫৮ থেকে ৫৮ টাকা ৫০ পয়সা। এখন দেশে ২৪টি ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র আছে। প্রতিমাসে প্রায় এক লাখ টন তেলের চাহিদা রয়েছে। গ্রীষ্মে এ চাহিদা আরো বাড়ে। এজন্য গ্রীষ্মের আগেই ফার্নেস অয়েলের ওপর কর মওকুফ সুবিধা কার্যকরের জন্য জ্বালানি বিভাগকে অনুরোধ করেছে বিপিসি।