আরইবিকে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে: বিইআরসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান বলেছেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সমিতিগুলোতে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, ঠিকাদারদের দালালী এবং চাঁদাবাজী বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজী বন্ধ না হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের সাফল্য ম্লান হয়ে যাবে। সরকারের লক্ষ অর্জনে পিছিয়ে যেতে হবে।
শনিবার বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ব্যবস্থাপক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আরইবি খিলক্ষেত প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ৭৭টি সমিতির মহাব্যবস্থাপক ও সভাপতি উপস্থিত ছিলেন।
এ আর খান বলেন, গ্রামে বিদ্যুৎ দিতে আরইবিকে আরও আধুনিক হতে হবে। বেশি বেশি উপকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরও সচেতন করতে হবে। অপচয় কমাতে হবে। সিস্টেম লস কমিয়ে আনতে হবে। প্রতিটি ঘরে ঘরে মিটার নেয়ার প্রবনতা দ্রুত বন্ধ করা উচিত।
জেনারেল ম্যানেজার সম্মেলনে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের সদস্য রহমান মোর্শেদ, পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুম আল-বেরুনী, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিক উদ্দিন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য আবুল বাশার খান ও বাপবিবোর্ডের সদস্য (অর্থ) মো. আতাউল হক মোল্লা। অনুষ্ঠানে দেশের ৭৭টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ও সমিতি বোর্ডের সভাপতিসহ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাপবিবো এবং পবিসগুলোর পক্ষ থেকে বিদ্যুতের দাম পুনঃনির্ধারন করতে বলা হয়। গ্রিড ওভারলোডের কারণে বিদ্যুৎ ঠিক মত থাকে না বলেও জানানো হয়।
বাপবিবো চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৬৩টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হবে। এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে সকলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়া হবে।