আশুগঞ্জে হচ্ছে ৪০০ মেগাওয়াটের নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ২ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্যাসভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প সরকারের অনুমোদন পেয়েছে, যে কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘আশুগঞ্জ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (পূর্ব)’ প্রকল্প এই অনুমোদন পায়।
পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবারের একনেক সভায় আরো ৫টি প্রকল্প দেয়া হয়।
একনেকের বৈঠকের পর অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিডেট (এপিএসসিএল) ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ২ হাজার ৩৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা পাওয়া যাবে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে। ৪২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সরকার যোগাবে, আর সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে আসবে ১৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আওতায় উচ্চ জ্বালানি দক্ষতাসম্পন্ন গ্যাস টারবাইন, স্টিম টারবাইন, স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার, গ্যাস ইন্সুলেটেড সুইস গিয়ার সিস্টেম ও কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট প্রতিস্থাপন করা হবে।এটি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে ঢাকা শহরেও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা ও এ খাতের স্থায়িত্ব ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়বে। এছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাসের দক্ষ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সভায় ৮ হাজার ৮২৫ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে আসবে ৬ হাজার ৩১৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য হিসেবে আসবে ২ হাজার ৩৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন হবে ১৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ৩৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক, কক্সবাজারের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ- ১ম সংশোধিত’, ৮০ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপন- ২য় সংশোধিত’, ৪৪ কোটি ৪২ লাখ টাকার ‘নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার শিবপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ’, ৫ হাজার ৫৩০ কোটি ১৩ টাকা ব্যয়ে ‘কুড়িল পূর্বাচল লিংক রোড়ের উভয় পাশ্বে (কুড়িল হতে বালু নদী পযন্ত) ১০০ ফুট খনন ও উন্নয়ন’ ও ২০৩ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘কক্সবাজার-টেকনাফ-মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প- ৩য় পর্যায় (শিলখালী থেকে টেকনাফ)।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম ও পরিকল্পনা কমিশনের সচিব সফিকুল আজম।