আশুগঞ্জ থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে

‘আগে গড় পরে বন্ধ কর’ নীতিতে চলছে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। কম খরচে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বড় ইউনিট স্থাপন করে পর্যায়ক্রমে পুরাতন, কম উৎপাদনের ইউনিট বন্ধ করা হবে। এজন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় চারটি বড় কেন্দ্র পনের কাজ চলছে। এতে চলতি বছরের মধ্যে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ স্টেশন কোম্পানি (এপিএসসিএল) কর্তৃপক্ষ জানান, ইউনিটগুলোর বেশীর ভাগ-ই পুরাতন ও মেয়াদোর্ত্তীণ। ফলে উৎপাদন ব্যহত হয়। এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হলেও গ্যাস বেশি লাগে। উৎপাদন খরচও বেশি।
২০১৩ সালের ২০ জুলাই আশুগঞ্জে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের ৪টি কেন্দ্র স্থাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যে আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট সিসিপিপি (দক্ষিণ) এর কাজ ৯৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। এছাড়া আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট সিসিপিপি (উত্তর) ৩৯ শতাংশ, আশুগঞ্জ ২২৫ মেগাওয়াট সিসিপিপি এর ৯৫ শতাংশ এবং আশুগঞ্জ ২০০ মেগাওয়াট এর কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে মার্চে ৩৪০ মেগাওয়াট, জুলাইয়ে ৪৮০ মেগাওয়াট এবং ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে যোগ হবে।
এদিকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে তিনবার সমীক্ষা করা হয়েছে। জীব বৈচিত্রে ও নদীর পানির উপর প্রভাব, গ্যাস জনিত বায়ু দূষণ ও এলাকায় তাপমাত্রার প্রভাব পর্যবেক্ষন করা হয়েছে। তাছাড়া যন্ত্রপাতির শ্বন্ধ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণ, সুয়ারেজ, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং পানি ব্যবস্থাপনা যথাযথ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. নুরুল আলম জানান, দ্রুত গতিতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনে আসবে।