ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ারের ৩৫% শেয়ার নেবে খুলনা পাওয়ার

ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্লান্টের ৩৫ শতাংশ শেয়ার অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার ৩৫ শতাংশ সাধারণ শেয়ার অধিগ্রহণ করবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। গত ২১ আগস্ট ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্টের উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে। আর পটুয়াখালীতে অবস্থিত পায়রা পাওয়ার প্লান্টের ১৫০ মেঘাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বা তিন টাকা ৯০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৩ টাকায় হাতবদল হয়। শেয়ারটির সমাপনী দর দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা। ওইদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ টাকায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।

২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে ছয় টাকা ১৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি এনএভি ছিল ২৬ টাকা ৮৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২২৩ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

‘এ’ ক্যাটেগরির খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৭৩ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

কোম্পানিটির মোট ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৮০টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৫০ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ২০ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ছয় টাকা ২০ পয়সা।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল এক টাকা ৫৩ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ৪২ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৬ টাকা ৩১ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৫ টাকা ২০ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯২ পয়সা।