ইউনিক গ্রুপ মেঘনাঘাটে করছে বিদ্যুৎকেন্দ্র

UMPL to construct combined-cycle power plant

নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৫৮৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে ইউনিক গ্রুপ। ২০২২ সালে এই কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে।
এনিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর সঙ্গে বিদ্যুৎচুক্তি হয়েছে।
এতে খরচ হবে ৫২ কোটি ডলার। ঠিকাদার হিসেবে কেন্দ্র স্থাপন করবে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেক্ট্রনিক্স। ১৯ একর জমিতে এই কেন্দ্র হবে।

বুধবার রাজধানীর বিদ্যুৎভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি এসময় বলেন, দেশে এ বছরের মধ্যেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। বর্তমানে ৯৪ ভাগ জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার প্রায় সমান সমান। সরকার তরল জ্বালানিনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে গ্যাসভিত্তিক ও কয়লাভিত্তিক উৎপাদনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তুলনামূলক পুরানো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী তিন বছরের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদন শুরু হবে। ২২ বছর ধরে বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি। গ্যাস দিয়ে চলমান থাকলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম হবে ২ দশমিক ৯৫ টাকা। গ্যাস সংকটের কারণে যদি রূপান্তরিত গ্যাসে চলে তবে দাম পড়বে ৫ দশমিক ৪৪ টাকা। এক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় মূল্য ধরা হচ্ছে ৮০ টাকা।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বিপিডিবির সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন চুক্তি ও ক্রয় চুক্তি করে ইউএমপিএল। এছাড়া তিতাস গ্যাসের সঙ্গেও জ্বালানি সরবরাহ চুক্তি হয়।

বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে পিডিবি‘র সচিব সাইফুল ইসলাম আজাদ ও ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফত, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্মসচিব শেখ ফয়েজুল আমিন, পিজিসিবি‘র সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গির আজাদ ও তিতাসের সচিব মাহমুদুর রব সই করেন।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, পিডিবি‘র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, পেট্রোবাংলা‘র চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন ও ইউএমপিএল-এর চেয়ারম্যান নূর আলী উপস্থিত ছিলেন।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যুৎখাতে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। নতুন এই প্রকল্পের চ্যালেঞ্জ হবে প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা।

ইউএমপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাফিজ সরাফত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার যে অঙ্গীকার করেছেন, সেটা বাস্তবায়নে ইউনিক মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।