ইন্দো-বাংলা তেল পাইপলাইন: জমি অধিগ্রহণের দরপত্র আহ্বান
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের জন্য জমি অধিগ্রহণ এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরামর্শদাতা নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করেছে।
বিপিসি’র এক কর্মকর্তা জানান, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃদেশীয় তেল পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে। এই কাজ সহজ করতে এবং ভূমি অধিগ্রহণের জন্য তৃতীয় পক্ষকে নিযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।আগ্রহী পরামর্শদাতাকে ১০ই অক্টোবরের মধ্যে আগ্রহপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।এই কাজ নভেম্বর নাগাদ শুরু হবে।২০১৯ সালের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ হবে।
১৮ই সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে তাদের নিজ নিজ দেশ থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পাইপলাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
১৩৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ইন্দো-বাংলা পাইপলাইন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর তেল ডিপো পর্যন্ত হবে।২০২০ সালের মধ্যে পাইপলাইনের কাজ শেষ হবে।
পাইপলাইনে ভারত বাংলাদেশে প্রতি বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহ করবে।
পাইপলাইন পঞ্চগড়, নীলফামারী ও দিনাজপুরের মধ্য দিয়ে পার্বতীপুর তেল ডিপো পর্যন্ত যাবে।
বর্তমানে অশোধিত ও শোধিত তেল সামুদ্রিক জাহাজ, নৌবাহিনী, ওয়াগন ট্রেন এবং ট্যাংক লরিসে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
বিপিসি চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন জানান, এই পাইপলাইন নির্মিত হলে দেশের উত্তর অঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে ডিজেল সরবরাহ নিশ্চিত করা যাবে। পরিবহন খরচ, ও বর্জ্য ক্ষতি কমবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় ডিজেল চাহিদা ১১ কোটি টন।
ভারতের আসামে নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে তেল সরবরাহ করা হবে। তেল পাইপলাইনে মোট থরচ হবে ৪২৯ কোটি টাকা। পাইপলাইনের ছয় কিলোমিটারের ভারতীয় অংশ এনআরএলের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। অন্যদিকে, অবশিষ্ট ১৩০কিলোমিটার তেল পাইপলাইন বাংলাদেশে থাকবে এবং এটাও ভারতের চলমান উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে।
২০১৫ সালের অক্টোবরে বিপিসি ও এনআরএল ১৫ বছরের চুক্তি করেছে। পাইপলাইনের বার্ষিক পরিবহন ক্ষমতা ১০ লাখ টন হবে। তবে ১৫ বছরের চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম তিন বছরে আড়াই লাখ টন, আগামী তিন বছরের জন্য তিন লাখ টন, সপ্তম থেকে দশম বছরে সাড়ে তিন লাখ টন, এবং ১১তম বছর থেকে চার লাখ টন ডিজেল আমদানি করা হবে।