ইরাকের বৃহত্তম তেল শোধনাগার দখলের দাবি বিদ্রোহীদের
ইরাকের বৃহত্তম তেল শোধনাগার বাইজি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে বিদ্রোহীরা। আল জাজিরার খবরে জানা যায়, ১০ দিন ধরে শোধনাগারটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। তবে অন্য এক খবরে বলা হয়, তেলক্ষেত্র ঘিরে এখনও যুদ্ধ চলছে। এ সপ্তাহের শুরুতে বিদ্রোহীরা আনবার প্রদেশের চারটি শহরও নিয়ন্ত্রণে নেয়। সঙ্কটময় এ পরিস্থিতিতে ইরাক সফরে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। ইরাকের সালাহউদ্দিন প্রদেশের ওই তেল শোধনাগার থেকে দেশটির ৭৫ ভাগ পরিশোধিত তেল সরবরাহ করা হয়। শোধনাগারটি ঘিরে লড়াই হওয়ায় এরই মধ্যে ইরাকে জ্বালানি তেলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের যেসব এলাকা বিদ্রোহীদের দখলে আছে, সেসব ধরে রাখা ও সেখানকার জ্বালানির প্রয়োজন মেটানোর জন্য শোধনাগারটি দখল করা বিদ্রোহীদের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছিল। এদিকে ইরাক সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এখন উত্তর ইরাকের শহর ইরবিলে রয়েছেন। সেখানে তিনি ইরাকের কুর্দি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। জানা গেছে, সবার অংশগ্রহণে ঐকমত্যের একটি নতুন সরকার গঠন এবং বিদ্রোহীদের মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হতে তিনি বৈঠকে আলোচনা করেছেন। এরই মধ্যে ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সফরকালে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকি ছাড়াও দেশটির শীর্ষস্থানীয় শিয়া ও সুনি্ন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলেন কেরি। সুনি্ন বিদ্রোহীগোষ্ঠী ‘দ্য ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত (আইএসআইএল)’ ইরাকের অস্তিত্বের জন্য হুমকি বলে দাবি করে জন কেরি আরও সঙ্কটময় পরিস্থিতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
জুনে নিহত ১ হাজারের বেশি : ইরাকে চলমান সংঘর্ষ-সহিংসতায় ১ হাজার ৭৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। বিবিসি জানায়, ৫ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত কেবল নাইভেহ, দিয়ালা ও সালাহউদ্দিন প্রদেশে ৭৫৭ জন নিহত হন। একই সঙ্গে আরও ৩১৮ জন বাগদাদ ও দক্ষিণ ইরাকের বিভিন্ন এলাকায় নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। আল জাজিরা, বিবিসি