ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিটের নকশা করতে চুক্তি

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) এর রিফাইনারি পরিশোধন ক্ষমতা আরো বাড়াতে ‘ইনস্টলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই পরিশোধনাগারের নকশা করতে ফ্রন্ট ইন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন (এফইইডি) চুক্তি সই হয়েছে।
আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) এবং টেকনিপ ফ্রান্সের মধ্যে এই চুক্তি সই হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর উপস্থিতিতে পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পক্ষে পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ মো. মোজাম্মেল এবং টেকনিপ ফ্রান্সের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সেলস ম্যানেজার ডিদিয়ার লিকুয়েক্স ও টেকনিপ মালয়েশিয়ার ডিরেক্টর আমরার বিন আহমেদ চুক্তি সই করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, বিপিসির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো: রহমাতুল মূনীম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিসেস সূফী আবার্ট বক্তব্য রাখেন।
৩০ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে এই প্রকল্পের নকশা করা হবে। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইআরএল’র বর্তমান প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ১৫ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমান পরিশোধন ক্ষমতা আরও ৩০ লাখ মেট্রিক টন বাড়ানোর জন্য ‘ইনস্টলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ইউনিট-২ প্রকল্প প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৯২ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাস্তবায়িত হবে ২০১৮-২০২০ সালের মধ্যে। প্রকল্পটি বিপিসি’র নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ইআরএল’র উৎপাদন ক্ষমতা ৪৫ লাখ মেট্রিক টন হবে। এতে পরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি নির্ভরতা কমবে বলে জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের পর দেশে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াকরণ করে তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন করা সম্ভব। এতে বছরে ৮০০-৯০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে এবং খরচ ৫/৬ বছরের মধ্যে উঠে আসবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন তদারকি করতে পরামর্শক হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লি.(ইআইএল)-কে  নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রকল্প বাস্তবায়নে ইআরএল’র নিজস্ব ভূমি ও ইআরএল সংলগ্ন জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি হতে ৩০ একর জমি লিজ নেয়া হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে নকশার কাজ শেষ হবে।
রিফাইনারি স্থাপনের বিষয়ে ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর বিপিসি ও টেকনিপ ফ্রান্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৪০০.০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে তিনি জানান।