ঈদে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্যোগ
ঈদে শিল্প কারখানা, অফিস আদালত বন্ধ থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা এমনিতেই কম থাকবে। তারপরও ঈদের দিন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত্ দিতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সব বিদ্যুেকন্দ্র সর্বোচ্চ উত্পাদন ক্ষমতায় চালানো হবে। কোনরকম যান্ত্রিক গোলযোগ ছাড়া ঈদের দিন কারও বাসা বাড়ির বিদ্যুত্ যাতে না যায় সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থাও করেছে বিতরণ সংস্থাগুলো।
দেশের বিতরণ সংস্থাগুলো জানায়, রমজানে কোন কোন স্থানে যান্ত্রিক গোলযোগ বা বিতরণ লাইনের সীমাবদ্ধতার কারণে লোডশেডিং হতে পারে।
দিনের তুলনায় রাতে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। তাই দিনের বেলা তেলচালিত বিদ্যুেকন্দ্রগুলো কম চালানো হবে।
বিদ্যুত্ বিভাগ সূত্র জানায়, ঈদকে সামনে রেখে এরইমধ্যে পিডিবিকে সর্বোচ্চ বিদ্যুত্ উত্পাদনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দেশের বিদ্যুেকন্দ্রগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের সময় নির্দেশ দেয়া হয়েছে সতর্ক থাকার।
পিডিবির একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ঈদে সর্বোচ্চ বিদ্যুত্ উত্পাদনের চেষ্টা করা হবে। কোন বড় ধরনের যান্ত্রিক গোলযোগ না হলে সব বিদ্যুেকন্দ্র চালানো হবে। ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত জ্বালানির অভাবে কখনও পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুত্ উত্পাদন করা যায় না। গ্যাসের কারণে প্রায এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কম উত্পাদন হয়। ঈদে শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করেন।
জানা যায়, প্রতিবারই ঈদের সময় রাজধানী থেকে বহু মানুষ নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। এতে রাজধানীতে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক কমে যায়। কিছুটা চাহিদা বাড়ে মফ¯^লসহ গ্রামের|
এ বিষয়ে আরইবি জানায়, সারা বছরের তুলনায় ঈদের সময় তাদের বিদ্যুতের চাহিদা বেশি হয়। এই চাহিদা পুরণের জন্য আরইবিকে বেশি বিদ্যুত্ সরবরাহের জন্য বিদ্যুত্ বিভাগের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।
বর্তমানে সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে কারিগরি ত্রুটি বাদ দিয়ে ছয় হাজার ৬১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করা হচ্ছে। গ্যাস ঘাটতির কারণে ৯৭৪ মেগাওয়াট এবং এক হাজার ৩৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ কেন্দ্র মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বিদ্যুত্ উত্পাদন কম হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুতের জন্য ৯৫ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস দেয়া হচ্ছে। অন্য সময় গড়ে ৮০- ৮৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস দেয়া হয়। এছাড়া তেল চালিত বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলোকে পূর্ণমাত্রায় উত্পাদন করা হবে ।