উদ্ভাবনী চিন্তা ও কৌশল কাজে লাগাতে আজ ‘এনার্জি হ্যাকাথন’
জ্বালানি সংকট নিরসনে তরুন প্রকৌশলীদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও কৌশলকে কাজে লাগিয়ে দেশের সীমিত জ্বালানি সম্পদকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে ‘পাওয়ার এন্ড এনার্জি হ্যাকাথন’ এর আয়োজন করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
দুইদিনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির নানা বিষয়ে নিজেদের নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আজ এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন হ্যাকাথন হল প্রযুক্তির মাধ্যমে আÍপ্রকাশ এবং সৃজনশীলতার মিলনস্থল। সীমাবদ্ধ সম্পদ দিয়ে জ্বালানি সংকট নিরসনে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণে, তাদের নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা ও কৌশলের সদব্যবহার করতে আগ্রহী সরকার। এ সকল অভিনব ও যুগান্তকারী চিন্তাধারাকে এক মঞ্চে সমবেত করতে এনার্জি হ্যাকাথন এর আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জনে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে মোকাবেলা করা যায় তা বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে সমাধানের প্রোটোটাইপ বা নমুনা সমাধান তৈরি করতে হবে। আশাকরি তরুণ ছাত্র-ছাত্রী ও পেশাজীবীদের নতুন কিছু সৃষ্টি করতে উৎসাহ দিতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করবে এই উদ্যোগ।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন বলেন, জ্বালানি সাশ্রয় ও কার্যকর জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতেও আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হিসেবে এরইমধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এনার্জি হ্যাকাথন এর আয়োজন করা হয়েছে। তিনি জানান, বিদ্যুৎখাতে বর্তমানে অনেক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এজন্য জ্বালানির যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন আ্ইডিয়ারও। তিনি বলেন, এ খাতের উন্নয়নে তরুন প্রজš§কে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যেই এই এনার্জি হ্যাকাথন নামে প্রদর্শণীর আয়োজন করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ‘এনার্জি হ্যাকাথন’-এ যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে সেগুলো হচ্ছে- গৃহস্থালিতে কার্যকর জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা, মেরিন এনার্জি কার্যকর করা, শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি শক্তির সংকট, বায়োমাস গ্যাস স্টোভ প্রতিস্থাপন, স্মার্ট গ্রিড টেকনোলজির বাস্তবায়ন, গ্রিন ও রিনিউয়েবল এনার্জির সমাধান এবং বিদ্যুতের সুলভ সংযোগ নিশ্চিতকরণ। এই বিষয়গুলো সমাধানে প্রযুক্তির ব্যবহার দেখাবে শিক্ষার্থীরা। তরুণ প্রকৌশলিরা টানা ৩৬ ঘন্টা একটানা কাজ করবেন এবং তা উদ্ভাবন করবেন।
হ্যাকাথন প্রোগ্রামে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেয়ার পাশাপাশি চুড়ান্ত বিজয়ীদেরকে পুরস্কার ও স্মারক দেবে জ্বালানি বিভাগ।