উন্নয়নের প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন করতে গিয়েই বাধ্য হয়ে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে হচ্ছে।
রাজধানীর লেইক শোর হোটেলে আজ সোমবার ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অব আইইউসিএন প্ল্যাটফর্ম ফর সাসটেইনেবল বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
কয়লাভিত্তিক ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হলে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে পরিবেশবাদীরা দাবি করছে। তবে সরকার বলছে, সুন্দরবনের ক্ষতি হবে এমন কোন কাজ করা হবে্র না।
মন্ত্রী বলেন, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে হচ্ছে বলে আমরাও উদ্বিগ্ন। কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ দরকার বলে বাধ্য হয়েই ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে হচ্ছে। সুন্দরবন কি আমাদের ঐতিহ্য নয়, আমাদের সম্পদ নয়? তারপরও অগ্রাধিকার বাস্তবায়ন করতে গিয়ে একটা ব্যালান্স আমাদের করতে হয়েছে। দেশের শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের মাঝে মাঝে অপ্রিয় উন্নয়নও করতে হয়।
হাসনা জসীমউদদীন মওদুদকে চেয়ারম্যান করে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অব আইইউসিএন প্ল্যাটফর্ম ফর সাসটেইনেবল বায়োডাইভারসিটি কনজারভেশন’ গঠিত হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড করার জন্য বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রগুলো একসাথে বসেছিলেন। ওই ফান্ড হয়েছে, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।
তিনি বলেন, আমাদের যেহেতু সীমিত সম্পদ দিয়ে উন্নয়ন করতে হচ্ছে, তাই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন কাজ করছি। আমরা তাড়াহুড়ার মধ্যে আছি। তাই অনেক সময় অনেকের সাথে আমাদের মত পার্থক্য হয়। আশা করি, দেশের বিশাল সুশীল সমাজ আমাদের এই অগ্রাধিকারটা বুঝবেন।
মান্নান বলেন, দেশের জীব বৈচিত্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায়ও কিছু কাজ হাতে নিয়েছি, যা এর আগে এদেশে কেউ হাতে নেয়নি। যেমন- নদী রক্ষা কমিশন, তথ্য কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ আরও অনেক নতুন বিষয় আমরা করেছি।
অনুষ্ঠানে মুল প্রবন্ধে অধ্যাপক আব্দুর রব মোল্লাহ বলেন, জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করতে না পারায় ইতোমধ্যেই ৩১ প্রজাতির বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এরমধ্যে গন্ডার, হায়েনা, বন মহিষ, জলা হরিণ, নীল গাই অন্যতম। এছাড়াও অদুর ভবিষ্যতে আমাদের ৩২৭ প্রজাতির বন্য প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার পথে।